Advertisement

Alipurduar Student Murder Case: আলিপুরদুয়ারে পারিবারিক বিবাদে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে বেঁধে মারধর, মৃত্যু

Alipurduar Student Murder Case: ঘটনাটি আলিপুরদুয়ারের চাপরেরপার-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চালনির পাক এলাকায়। পদ্মেশ্বরী হাইস্কুলের ওই ছাত্রের পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল ভাটিবাড়ি। অভিযোগ, পারিবারিক বিবাদের জেরে ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে বেঁধে মারধর করা হয়।

পারিবারিক বিবাদের জের, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে বেঁধে মারধরে মৃত্য়ু আলিপুরদুয়ারেপারিবারিক বিবাদের জের, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে বেঁধে মারধরে মৃত্য়ু আলিপুরদুয়ারে
Aajtak Bangla
  • আলিপুরদুয়ার,
  • 16 Feb 2025,
  • अपडेटेड 4:05 PM IST

Alipurduar Student Murder Case: পারিবারিক জমি বিবাদের জেরে বাবার সঙ্গে মারধর করা হয় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কিশোরকেও। শুক্রবার সন্ধ্যায় মারধরের পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্র। রবিবার হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। শনিবার ছিল গণিতের পরীক্ষা সে পরীক্ষা তো দিতেই পারেনি। এবার মুছে গেল পরীক্ষার চিরদিনের দায়। ঘটনা শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘দুই পরিবারের বিরুদ্ধেই তদন্ত শুরু হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঘটনাটি আলিপুরদুয়ারের চাপরেরপার-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চালনির পাক এলাকায়। পদ্মেশ্বরী হাইস্কুলের ওই ছাত্রের পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল ভাটিবাড়ি। অভিযোগ, পারিবারিক বিবাদের জেরে ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে বেঁধে মারধর করা হয়। তখনই মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে বলে মনে করা হচ্ছে। শেষপর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পরীক্ষার্থী ও তার পরিবারের লোকজনকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। ঘটনায় সজয় দেবনাথ নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সজয়ই সুকান্তের বাবা।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত সজয় দেবনাথ মদ্যপ অবস্থায় তার দাদা ও ভাইয়ের বাড়িতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় সজয় ও তার স্ত্রী সুনীতি ছাড়াও দুই ছেলে  সুমন ও  সুকান্ত সঙ্গে ছিল বলে অভিযোগ। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সজয় সেজ। তাঁদের মধ্যে জমি নিয়ে বিবাদ দীর্ঘদিনের। সেই সূত্রেই সে ওইদিন পাশেই দাদা ও ভাইয়ের বাড়ি যায়। মারামারির সময় হইচই শুরু হলে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। স্থানীয়রাই অভিযুক্ত সজয় ও তার ছেলে সুকান্তকে মারধরের পর দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন বলে খবর। তবে সুকান্তের কখন, কীভাবে চোট লাগে তা স্পষ্ট করে কেউ বলতে পারেনি। তবে সুকান্তর ভাই সুমন জানিয়েছে, দাদা সুকান্ত তখন বাড়িতে পড়াশোনা করছিল। বাবাকে ডেকে আনতে গেলে মারধর করা হয় তাকে।

Advertisement

আরও পড়ুন

তবে সজয়ের পরিবারের চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। রাত ৮টা নাগাদ অভিযুক্ত সজয় ও তার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছেলে সুকান্তকে উদ্ধার করে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরেই সুকান্ত অচৈতন্য হয়ে পড়ে। পুলিশ সুকান্তর বাবা সজয়কেই গোলমাল পাকানোর জন্য গ্রেফতার করেছে। সুকান্তর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement