Advertisement

Siliguri fake certificate: শিলিগুড়িতে জাল বার্থ সার্টিফিকেট তৈরির চক্রের হদিশ, বাংলাদেশ সীমান্তে ধৃত ১

খড়িবাড়িতে একই ধরনের কারবারে জড়িত চারজনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই বিধাননগরের এই ঠিকানার হদিশ মেলে। এদিন লিটনের দোকান থেকে মোট ৪০টি জিনিস বাজেয়াপ্ত হয়েছে-এর মধ্যে কম্পিউটার, প্রিন্টার ও বিভিন্ন ডকুমেন্ট রয়েছে।

Aajtak Bangla
  • শিলিগুড়ি,
  • 13 Nov 2025,
  • अपडेटेड 4:11 PM IST

Siliguri Fake Certificate: এসআইআর ঘিরে যখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়, ঠিক তখনই ফের জাল শংসাপত্র চক্রের নতুন আস্তানার খোঁজ মিলল ফাঁসিদেওয়ায়। মোটা টাকার বিনিময়ে জন্ম ও মৃত্যু শংসাপত্র বানানো হচ্ছিল বিধাননগর পাইকপাড়ার এক ছোট্ট অনলাইন পরিষেবা কেন্দ্র থেকে। দোকানটি মাত্র আট ফুট বাই পাঁচ ফুট মাপের, তাতে লাগানো ছিল একটি শাটার। বুধবার খড়িবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া থানার বিধাননগর তদন্ত কেন্দ্রের যৌথ অভিযানে ফাঁস হয় এই জাল সার্টিফিকেট চক্রের।

পুলিশ সূত্রে খবর, দোকানটি ভাড়া নিয়ে চার বছর ধরে চালাচ্ছিল সুব্রত ঘোষ ওরফে লিটন নামে এক যুবক। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থেকে বছর কয়েক আগে বিধাননগরে এসে ওঠে সে। প্রথমে একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করত, পরে নিজে অনলাইন পরিষেবার দোকান খুলে বসে। বুধবার তল্লাশিতে দোকান থেকে একাধিক জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র, তিনটি কম্পিউটার, রেটিনা স্ক্যানার ও আধার তৈরির জন্য ব্যবহৃত বায়োমেট্রিক মেশিন উদ্ধার হয়।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন নকশালবাড়ির এসডিপিও সৈকত ভদ্র, ফাঁসিদেওয়ার ওসি চিরঞ্জিৎ ঘোষ এবং বিধাননগর তদন্ত কেন্দ্রের ওসি প্রীতম লামা। রাতভর চলে তল্লাশি অভিযান। জিজ্ঞাসাবাদে লিটন জানায়, ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে সে নকল শংসাপত্র বানিয়ে দিত। কম্পিউটার থেকে একাধিক সম্পাদনাযোগ্য (editable) ফাইলও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খড়িবাড়িতে একই ধরনের কারবারে জড়িত চারজনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই বিধাননগরের এই ঠিকানার হদিশ মেলে। এদিন লিটনের দোকান থেকে মোট ৪০টি জিনিস বাজেয়াপ্ত হয়েছে-এর মধ্যে কম্পিউটার, প্রিন্টার ও বিভিন্ন ডকুমেন্ট রয়েছে।

অভিযুক্তকে গভীর রাতে গ্রেফতার করে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হবে। সূত্রের খবর, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লিটন স্থানীয় আরও কয়েকজনের নাম জানিয়েছে। পুলিশ তাদের খোঁজ শুরু করেছে। ফাঁসিদেওয়ার ওসি চিরঞ্জিৎ ঘোষ জানান, ঠিক কীভাবে এত বড় নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে।
 

Advertisement


 

Read more!
Advertisement
Advertisement