Advertisement

Land Occupy and Money Extortion Case: নদীর চর দখল করে মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রির অভিযোগে উত্তাল শিলিগুড়ি

Land Occupy and Money Extortion Case: শিলিগুড়ি ও লাগোয়া এলাকা জুড়ে বিঘার পর বিঘা সরকারি জমি দখল করছে জমি মাফিয়ারা (land Mafia)। তার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ  তদন্ত করতে প্রয়োজনে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম(সিট) গঠন বা সিবিআই তদন্ত করা হোক। এমনই দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন শিলিগুড়ির নকশালবাড়ির বিজেপি বিধায়ক আনন্দময় বর্মন।

নদীর চর দখল করে মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রির অভিযোগে উত্তাল শিলিগুড়ি
Aajtak Bangla
  • শিলিগুড়ি,
  • 05 Aug 2024,
  • अपडेटेड 1:34 AM IST

Land Occupy and Money Extortion Case:  শিলিগুড়ি লাগোয়া সমরনগর সংলগ্ন, মহানন্দা পারের সাতমাজুয়া দ্বীপনগরে বিঘার পর বিঘা সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। নদীর গা ঘেঁষে কখনও নদীর চরেই তৈরি হচ্ছে ঝুপড়ি ঘর। ফলে নদীর গতিপথ বদলে যেতে পারে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় পুরনো বাসিন্দারা। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি জমি দখলের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিচ্ছেন, সেখানে তাঁর দলেরই একাংশ এই জমি দখলের চক্র চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। 

মোটা টাকার বিনিময়ে সেই জমি বিক্রি করে দিচ্ছেন স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতানেত্রী। এমন অভিযোগ তুলে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকার বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা উপ-প্রধান অবিরাম শৈব এবং তৃণমূল নেত্রী প্রতিমা ঠাকুর বাইরে থেকে কিছু লোককে জমি দখল করে বসিয়েছে। পাট্টা দেওয়ার কথা বলে এলাকার কয়েকশো লোকের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা করে তুলেছে ওই নেত্রী বলে অভিযোগ। শিখাদেবীর অভিযোগ কাঠা প্রতি ৮০ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে অথচ কেউ পাট্টা পাননি।

এ বিষয়টি কানে গিয়েছে সরকারি দফতরেরও। তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, নদীর চরে কোনওভাবেই কোনও পাট্টা দেওয়া হবে না। রাজগঞ্জের বিএলআরও সুখেন রায় বলেন, লিখিত কোনও অভিযোগ পাইনি ঠিকই, তবে সংবাদমাধ্যমে এমন খবর পেয়েছি। বেআইনি কাজ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। তবে কেউ পাট্টার আবেদন করে থাকলে, তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে নদীর চর হলে পাট্টা দেওয়া হবে না। অন্যদিকে বিডিও প্রশান্ত বর্মনকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এলাকার মানুষ এখন পড়েছেন বিপাকে। একদিকে তাঁরা টাকা দিয়ে ফেলেছেন। অথচ পাট্টা পাচ্ছেন না। অন্যদিকে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গ্রামবাসী। তাঁদের অভিযোগ, এখন টাকা দিয়ে আমরা ফেঁসে গেছি। পাশাপাশি প্রকাশ্য়ে আসলে টাকাটাও জলে যেতে পারে। তাই সব দিক দিয়ে বিপাকে পড়েছি।

Advertisement

শুধু তাই নয়, বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, প্রতিমা ঠাকুর বিভিন্ন লোককে জমির দখলের টোপ দিয়ে পয়সা আদায় করছেন এবং জমির দালালি করছেন। অথচ উন্নয়নের কাজে বাধা দিচ্ছেন প্রতিমা দেবী বলে অভিযোগ শিখা চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, সেতু তৈরি করার কাজে গিয়েছিলাম, সেখানে লোকজন নিয়ে বাধা দেয় প্রতিমা ঠাকুর বলে তিনি অভিযোগ করেন। অভিযোগ সেখানে সরকারি প্রকল্প কেউ পাচ্ছেন না। মানুষকে বোকা বানিয়ে শোষণ করে টাকা পয়সা আত্মসাৎ করার কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেন। 

এদিকে প্রতিমা ঠাকুরের পিছনে মদত দিচ্ছেন স্থানীয় উপপ্রধান অবিরাম শৈব বলে অভিযোগ উঠেছে। অবিরামের নিজের বাড়িও সরকারি খাস জমির উপরে এবং কোনও রকম প্ল্যান পাস করা ছাড়াই করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও সব রকম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অন্যতম অভিযুক্ত অবিরাম শৈব। তিনি জানান, পাট্টার প্রক্রিয়া সরকার দেখছে। টাকা তোলার অভিযোগ আমার জানা নেই। অন্যদিকে অপর অভিযুক্ত প্রতিমা ঠাকুরকে এলাকাতে পাওয়া যায়নি। ফোন করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, হয় এখন তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হোক, না হলে পাট্টা দেওয়া হোক।

শিলিগুড়ি ও লাগোয়া এলাকা জুড়ে বিঘার পর বিঘা সরকারি জমি দখল করছে জমি মাফিয়ারা (land Mafia)। তার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ  তদন্ত করতে প্রয়োজনে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম(সিট) গঠন বা সিবিআই তদন্ত করা হোক। এমনই দাবি জানিয়ে এবং দুর্নীতির  সঙ্গে যুক্ত সমস্ত দোষীদের বিরূদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি দিয়েছেন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিজেপি বিধায়ক আনন্দময় বর্মন। এই সমস্ত জমি দখল ও দুর্নীতির পিছনে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের হাত রয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। এদিকে জমি দখল ও বিক্রির অভিযোগ স্বীকার করলেও তা নিয়ে রাজ্য সরকার নজিরবিহীনভাবে উদ্যোগ নিচ্ছে, যা আগে কোনও সরকার করেনি বলে পাল্টা দাবি করেছেন তৃণমূলের শিলিগুড়ির মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement