Advertisement

Bangladesh Hilsa: শিলিগুড়ির বাজারে পড়ে রইল বাংলাদেশি ইলিশ, কেনায় আগ্রহ নেই কেন?

Bangladesh Hilsa: শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেট থেকে মাছ যায় গোটা উত্তরবঙ্গে। পাশাপাশি পাহাড়-সিকিম, নেপাল ও বিহারের প্রান্তিক বাজারগুলিতেও শিলিগুড়ি পাইকারি বাজার থেকে। শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটের ফিশ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বাপি চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশের ইলিশের দাম শুনেই খুচরো ব্যবসায়ীরা পিছিয়ে যাচ্ছেন।

শিলিগুড়ির বাজারে পড়ে রইল বাংলাদেশি ইলিশ, কেনায় আগ্রহ নেই কেন?শিলিগুড়ির বাজারে পড়ে রইল বাংলাদেশি ইলিশ, কেনায় আগ্রহ নেই কেন?
Aajtak Bangla
  • শিলিগুড়ি,
  • 28 Sep 2024,
  • अपडेटेड 7:23 PM IST

বাংলাদেশ সরকার বহু টানাপোড়েনের পর ইলিশ এসেছে এদেশে। কলকাতার পাশাপাশি তা ফি বছরের মতো নিয়ম মাফিক শিলিগুড়ি পাইকারি বাজারেও ঢুকেছে। কিন্তু অন্য় মরশুমের মতো খদ্দের নেই। খদ্দের অর্থাৎ খুচরো ব্যবসায়ীরাই সেই মাছ কিনলেন না। ফলে শিলিগুড়ির মাছ বাজারগুলিতে এবার ঢুকলোই না বাংলাদেশের ইলিশ।

কিন্তু কেন? যে পদ্মা-মেঘনার ইলিশের জন্য মুখিয়ে থাকেন উত্তরবঙ্গের মানুষ, সেখানে ইলিশ এলেও তা থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখার কারণ কী? রাজ্যের মৎস্য ব্যবসায়ীদের সূত্রের খবর এসেছে, এবার বাংলাদেশ থেকে তাজা ইলিশ আসার সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার যে ইলিশ ঢুকেছে, সেগুলিতে বরফ ও লবণ দেওয়া রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। অর্থাৎ বাংলাদেশেই এই মাছ অন্তত পাঁচ-ছয়দিন আগে তোলা হয়েছে। এই মাছ ফ্রিজারে রাখলেও ভালো থাকবে না। সেইজন্য ব্যবসায়ীরাও এবার বাংলাদেশের মাছ নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। 

পাশাপাশি কারও কারও মধ্যে বাংলাদেশের পণ্য নিয়ে অনীহা দেখা গিয়েছে বলেও মাছ ব্যবসায়ীদের একটা অংশ জানাচ্ছেন।গেটবাজার, সুভাষপল্লি বাজারের কিছু বিক্রেতা জানিয়েছেন, আমরা সারা বছরই ইলিশ বেচি। বাংলাদেশের ইলিশ এনে লাভ কী? বাড়তি দাম দিয়ে বেশিরভাগই ওই ইলিশ কিনতে চাইছেন না। এটা একটা বড় কারণ, বাসি ইলিশ বেশি দামে কিনতে চাইছেন না অনেকে।

আরও পড়ুন

শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেট থেকে মাছ যায় গোটা উত্তরবঙ্গে। পাশাপাশি পাহাড়-সিকিম, নেপাল ও বিহারের প্রান্তিক বাজারগুলিতেও শিলিগুড়ি পাইকারি বাজার থেকে। শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটের ফিশ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বাপি চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশের ইলিশের দাম শুনেই খুচরো ব্যবসায়ীরা পিছিয়ে যাচ্ছেন। একেই তো টানা বৃষ্টিতে বাজারে মানুষের আনাগোনা কম, তার উপরে দাম অনেকটাই বেশি পড়ছে।

বৃহস্পতিবার সীমান্ত পেরিয়ে ওপার বাংলা থেকে প্রায় ৪০ টন রুপোলি ইলিশ এরাজ্যে ঢুকেছে। তার মধ্যে শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারে শুক্রবার সকালে এক টন অর্থাৎ ১০ কুইন্টাল ইলিশ পৌঁছেছে। ইলিশের ওজন ৭৫০ গ্রাম থেকে শুরু করে ১২০০ গ্রাম পর্যন্ত। পাইকারি বাজারে এদিন এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের দাম ছিল ১৮০০ টাকা, এক কেজির কম ওজনের ইলিশ ১৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। এদিন মাত্র চার কুইন্টালের মতো ইলিশ বিক্রি হয়েছে। যেখানে অন্য বছর বাংলাদেশি ইলিশের চাহিদার তুলনায় যোগান সব সময় কম থাকে। গেটবাজার, বাগডোগরা, মাটিগাড়া বাজারে ইলিশ গেলেও, মূল শহরের ৩০টির বেশি বাজারের বিক্রেতারা ইলিশ তোলেননি। ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ জানালেন, বাজারে এত দামি মাছ বিক্রি করা কঠিন। তার উপরে টানা বৃষ্টিতে বাজারে লোক কম। এখানে দিঘা, মুম্বইয়ের কিছু ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement