Advertisement

NH-10 Taken Over By Central Government Of India: আর নয় রাজ্য, সেবক-সিকিম ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এবার কেন্দ্রের দায়িত্বে

মঙ্গলবার রাতের বৃষ্টিতে ‘ধস বিপদে’ বুধবার দিনভর যান চলাচল বন্ধই থাকল সিকিমের লাইফলাইনে। ২৮ মাইলের পাশাপাশি ধস নামে মেল্লি-রংপোর মাঝামাঝি এলাকায়। বৃহস্পতিবারও দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় লাল সতর্কতা জারি হয়েছে।

আর নয় রাজ্য, সেবক-সিকিম ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এবার কেন্দ্রের দায়িত্বে- ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • দার্জিলিং,
  • 06 Nov 2024,
  • अपडेटेड 5:09 PM IST

NH-10 Taken Over By Central Government Of India: ধস-তিস্তা বিপর্যয় ও আবহাওয়ার সঙ্গে যুঝতে থাকা ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিনের। একবার বিপর্যয় হওয়ার পর সঠিকভাবে নিয়ম মেনে মেরামতি না হওয়ায় ফের অল্প দুর্যোগেই বারবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে রাস্তাটি। অবশেষে এই রাস্তাটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পূর্ত দফতরের হাত থেকে অধিগ্রহণ করল কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা। ফলে এখন থেকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দেখাশোনা, মেরামত ও সংস্কারের দায়িত্ব এখন থেকে রাজ্যের পরিবর্তে কেন্দ্রীয় সংস্থার উপর বর্তাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে একটি গেজেট নোটিফিকেশন করে সে কথা জানানো হয়েছে। 

এখন থেকে শিলিগুড়ি লাগোয়া সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত প্রায় ৫৩ কিলোমিটার ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের মেরামত ও সংস্কার করবে জাতীয় সড়ক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ । এতদিন ওই সড়ক মেরামত ও সংস্কারের কাজ কর‍ত রাজ্যের পূর্ত দফতর । যদিও পরবর্তীতে এই সড়কের এরিয়া বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শিলিগুড়ি লাগোয়া ফুলবাড়িতে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে সিকিম পর্যন্ত এই সড়ককে দীর্ঘায়িত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এই সিদ্ধান্তের পর কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং ও দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা । কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে খুশি পর্যটন সংস্থাগুলিও। এই এলাকা বিশেষ করে গোটা সিকিমের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে পর্যটনের উপর। এই রাস্তার জন্য গত কয়েক বছরে বিশেষ করে ২০২৩ সালের অক্টোবরে সিকিমে হড়পা বান ও তারপরে টানা বৃষ্টির ফলে এই রাস্তা একাধিকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে পর্যটন একেবারে ধসে পড়েছে। রাজ্যের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আবেদন জানিয়ে চিঠিও দেন বিভিন্ন পর্যটন স্টেকহোল্ডাররা।

এই জাতীয় সড়ক মেরামত ও সংস্কারের কাজ যাতে কেন্দ্রীয় সরকার নিজের হাতে নেয়, সেই দাবি জানাতে গত ২৫ জুন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীও। একই দাবি তোলেন রাজু বিস্তা-সহ পর্যটন সংস্থাগুলিও। এরপরই ওই সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার ।

Advertisement

রাজু বিস্তা বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার ওই সড়ক মেরামত এবং সংস্কারের কাজ নিজের হাতে নেওয়ায় এখন থেকে দ্রুত ওই সড়ক মেরামত ও সংস্কার হবে। এলাকার অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।" ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানান, ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক মেরামত এবং সংস্কারের কাজের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের নিজের হাতে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। জাতীয় সড়কটি বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাতে সড়কটির ভবিষ্যত নিয়ে সন্দিহান ছিলেন বলে জানান তিনি। তিনি আশাবাদী দ্রুত সমস্য়ার সমাধান হবে।

১৯৬৮ সাল থেকে ওই জাতীয় সড়ক মেরামত ও সংস্কারের কাজ করত কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতর। ১৯৮০ সালে তা দেখাশোনা শুরু করে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। কিন্তু প্রায় দশ বছর দেখাশোনার পর তা রাজ্যের পূর্ত দফতরের কাছে দেখভালের জন্য হস্তান্তর করে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement