Darjeeling Zoo Snow Leopard: ফের সাফল্য দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু চিড়িয়াখানার। এই চিড়িয়াখানার তোপকেদাড়া ব্রিডিং সেন্টারে চারটি রেড পান্ডা এবং দুটি তুষার চিতা শাবকের জন্ম হয়েছে। ছয়টি শাবকই সুস্থ ও সবল রয়েছে বলে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
জুলাই মাসের শেষের দিকে রেডপান্ডা নিক্কি এবং প্রসন্নের চার শাবকের জন্ম হয়েছে। পাশাপাশি একই সময়ে তুষার চিতা রাহানার দুই শাবকের জন্ম হয়েছে বলে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গিয়েছে। সেগুলির তথ্য সামনে আনা হয়েছে দুদিন আগেই।
কয়েক মাস আগেই স্নো লেপার্ড বা তুষার চিতা প্রজননে দেশের মধ্যে সেরার তকমা পেয়েছে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা। যার পোশাকি নাম দার্জিলিং পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্ক(Padmaja Naidu Himalayan Zoological Park)।ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচারের (আইইউসিএন) লাল তালিকাভুক্ত প্রাণীদের তালিকায় রয়েছে স্নো লেপার্ড বা তুষার চিতা(Snow leopard)। ফলে এই কৃতিত্ব আরও খানিকটা বেশি।
গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দার্জিলিং চিড়িয়াখানাতেই একমাত্র গত ৩০ বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে রেড পান্ডা এবং তুষার চিতার ক্যাপটিভ ব্রিডিং প্রক্রিয়া চলছে। এর বাইরে আরও আটটি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী রয়েছে, যেগুলি আইউসিএন-এর লাল তালিকভুক্ত রয়েছে। সেই প্রাণিগুলিরও ক্যাপটিভ ব্রিডিং হচ্ছে। ওই তালিকায় রয়েছে হিমালয়ান থার, ব্লু শিপ, হিমালয়ান উলফের মতো প্রাণী। তোপকেদ্বারা ব্রিডিং সেন্টারে চলছে এই প্রজনন প্রকল্প। প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত এই ব্রিডিং সেন্টারে ৭৯টি রেডপান্ডার জন্ম হয়েছে। তার মধ্যে ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ ৬টি রেড পান্ডার একসঙ্গে জন্ম হয়েছিল। ওই সময়ের সবগুলিই শাবকই সুস্থ রয়েছে। কয়েকটি রেড পান্ডাকে সিঙ্গালিলার জঙ্গলে ছাড়া হতে পারে বলে পার্ক সূত্রে জানা গিয়েছে।
আপাতত মায়েদের সঙ্গেই রাখা হয়েছে ওই শাবকদের। ২৪ ঘণ্টাই খুদে অতিথিদের নজরদারি চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। নতুন চারটি শাবকের জন্মের পর বর্তমানে চিড়িয়াখানায় রেড পান্ডার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯। অন্যদিকে, তুষার চিতার সংখ্যা বেড়ে ১১ হল। আগে ৯টি তুষার চিতা ছিল দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিকাল পার্কে। দার্জিলিং চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর বাসবরাজ হোলেইচি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,‘ক্যাপটিভ ব্রিডিংয়ে সফল ভাবে আরও চারটি রেড পান্ডা এবং দুটি তুষার চিতা শাবক জন্ম নিয়েছে এবং প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছে।’
দার্জিলিং চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর বাসব রাজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘এই ক্যাপটিভ ব্রিডিং প্রোগ্রাম চালানোর জন্য কর্মীদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। কাজটি নেহাত সহজ নয়। তার মধ্যে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী সংরক্ষণের ঝক্কিও অনেক। ১৯৮৩ সালে ক্যাপটিভ ব্রিডিং প্রোগামে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় তুষারচিতার কৃত্রিম প্রজনন শুরু হয়। ২০০৭ সালে দার্জিলিং চিড়িয়াখানাকে তুষার চিতার প্রজননের সমন্বয়কারী চিড়িয়াখানা হিসেবে ঘোষণা করে সেন্ট্রাল জু অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র দার্জিলিং চিড়িয়াখানাতেই তুষার চিতার কৃত্রিম প্রজনন করানো হয়।