Balurghat Rape Case: বিশেষভাবে সক্ষম তরুণীর উপর পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগে তোলপাড় দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট মহকুমা। অভিযোগের আঙুল উঠেছে স্থানীয় এক তরুণের দিকে, যিনি পরিচিত তৃণমূল কর্মী হিসেবে। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তর পরিবার প্রথমে সালিশি সভার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিল বলেও অভিযোগ।
ধর্ষণের শিকার তরুণী স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্যা তথা তৃণমূল নেত্রীর ভাইঝি। বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দিল্লিতে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কর্মরত থাকায় ওই তরুণী থাকতেন দিদিমার সঙ্গে। রবিবার, দিদিমা কাজের উদ্দেশ্যে বাইরে গেলে বাড়িতে একাই ছিলেন ওই তরুণী। অভিযোগ, সেই সুযোগেই বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করে এক প্রতিবেশী তরুণ। শুধু তাই নয়, গলা টিপে খুনের চেষ্টাও করা হয় বলে দাবি। মেয়েটির চিৎকারে ছুটে আসেন পড়শিরা। তখনই পালায় অভিযুক্ত।
ঘটনার পরে মঙ্গলবার অসুস্থ হয়ে পড়ে তরুণী। তখন বিষয়টি জানানো হয় দিল্লিতে থাকা তাঁর বাবা-মাকে। সেখান থেকেই যোগাযোগ করা হয় বালুরঘাট থানার সঙ্গে। পরে তরুণীকে ভর্তি করা হয় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়েছে।এদিকে, নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্তের পরিবার প্রথমে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। গ্রামের ‘মাতব্বর’দের ডেকে সালিশি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু নির্যাতিতার মামি এতে রাজি হননি। এরপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।
শুক্রবার পর্যন্ত অভিযুক্ত তরুণ পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
বালুরঘাট থানার ডিএসপি (সদর) বিক্রমপ্রসাদ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
নির্যাতিতার মামির কথায়, “বয়স মাত্র ২২। কথা স্পষ্ট করে বলতে পারেন না। চলাফেরা করতে হয় হামাগুড়ি দিয়ে। ওর এই দুর্বলতাটাকেই কাজে লাগিয়ে ওরা এমন করেছে। আমি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। এবার আইনের মাধ্যমে শাস্তি চাই।”
পরিবারের আরও একজন সদস্য, যিনি নিজেও তৃণমূল কর্মী, বলেন, “আমরা রাজনীতি করি ঠিকই, কিন্তু এমন ঘটনার পর আর কোনও পক্ষপাত নয়। অপরাধী যেই হোক, তার কঠোর শাস্তি চাই।” ঘটনায় রাজনৈতিক টানাপোড়েন থাকলেও, দলের তরফে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা তৃণমূল নেতা মলয় মণ্ডল। তাঁর কথায়, “এখানে রাজনীতির কিছু নেই। অন্যায় করলে তার শাস্তি হবেই। পুলিশ যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে, আমরাও তা সমর্থন করব।”