Earthquake North Bengal: ১৫ মিনিটের ঝড়ে (Storm) তছনছ হয়ে গেল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) জেলার বিভিন্ন এলাকায়। ক্ষতি হয়েছে কোচবিহার-আলিপুরদুয়ারেও। ঝড়ের তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে । জখম প্রচুর। খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে গিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা। এলাকায় গিয়েছেন রাজ্যপালও। এর মধ্য়েই সোমবার সকালে ভূমিকম্পে কাঁপল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। মৃদু ভূমিকম্প হলেও ঝড়ের বিধ্বস্ততার মধ্যে ভোরবেলা কম্পন অনুভূত হতেই অনেকেই আতঙ্কে কেঁপে ওঠেন।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির রিপোর্ট অনুযায়ী উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার ছিল ভূমিকম্পের এপিসেন্টার। তা অনুভূত হয় আশপাশে বেশ কয়েকটি জেলায়। মূল কম্পন অনুভূত হয়েছে ১৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এমনকী অসমেও মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার ভোর ৫.১৫ মিনিট আগে কেঁপে ওঠে আলিপুরদুয়ার। মৃৃদু কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ২.৮। কম্পন অনুভূত হয় আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, ফালাকাটায়। ভূমিকম্পের এপিসেন্টার আলিপুরদুয়ার। একে ঝড়, তার ওপর কম্পন অনুভূত হতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি তেমন কিছু না হলেও ভয় কাটছে না এলাকার বাসিন্দাদের।
উত্তরবঙ্গে আগামী ২-৩ দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে আতঙ্ক এখনও রয়েছে। সোমবারও সকাল থেকে একাধিক জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া মেঘলা ছিল। বেলার দিকে সামান্য রোদ উঠলেও রোদের তেজ নেই।আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে দার্জিলিঙের পার্বত্য এলাকায় হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দু থেকে তিন দিন এই পরিস্থিতি হতে পারে। পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, মূলত বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা। হাওয়া অফিস জানায়, তুলনায় কম বৃষ্টি হবে জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙে। মঙ্গলবার বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলায়। হালকা বৃষ্টি হতে পারে বিক্ষিপ্ত ভাবে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায়।