পুজোর ছুটির মধ্যেই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে। স্কুলে গিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক প্রাথমিক শিক্ষক। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মৃত শিক্ষকের নাম কাজল মণ্ডল (৩১)। বাড়ি কুমারগঞ্জের দিওর পঞ্চায়েতের রামকৃষ্ণপুর এলাকায়।
পুজোর ছুটির মধ্যেই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে। স্কুলে গিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক প্রাথমিক শিক্ষক। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মৃত শিক্ষকের নাম কাজল মণ্ডল (৩১)। বাড়ি কুমারগঞ্জের দিওর পঞ্চায়েতের রামকৃষ্ণপুর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে এনাতুল্ল্যাপুর-মঞ্জুরিচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান কাজলবাবু। স্কুলের রাঁধুনি সাবেদা বিবির কাছে তিনি স্কুলের চাবি চান। বলেন, কিছু খাতাপত্রের কাজ বাকি রয়েছে, তাই শেষ করতে হবে। সঙ্গে এটাও জানান, কয়েক দিনের মধ্যেই স্কুল খুলবে, তাই একটু পরিস্কারও করতে হবে।
পরিচিত শিক্ষককে চাবি তুলে দিতে দুবার ভাবেননি। কিন্তু বিকেল গড়িয়ে গেলেও কাজলবাবু চাবি ফেরত দিতে আসেননি। এতে সন্দেহ জাগে সাবেদা বিবির মনে। তিনি স্কুলে গিয়ে ডাকাডাকি করেন, কিন্তু কোনও সাড়া মেলে না। এরপর ভাঙা জানালার ফাঁক দিয়ে তাকিয়ে দেখেন, মাস্টারমশাই দড়িতে ঝুলছেন। চিৎকার শুনে আশেপাশের গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। খবর যায় কুমারগঞ্জ থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে বালুরঘাট হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। ফলে মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, কাজলবাবু ২০১৭ সালে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। বর্তমানে সতেরোর নিয়োগ প্রক্রিয়া উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
সহকর্মীদের মতে, কাজলবাবু ছিলেন অত্যন্ত শান্ত ও হাসিখুশি মানুষ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহাদেব ঘোষ জানান, তিনি গাছপালা ভালোবাসতেন। মাঝে মাঝেই বলত, স্কুলে গিয়ে গাছে জল দিতে হবে। তবে আজ যে স্কুলে আসবে, তা আমি ভাবিনি।”
গ্রামবাসীরাও হতবাক। মাত্র তিন মাস আগে বিয়ে করেছিলেন কাজলবাবু। সদ্য শুরু করেছিলেন দাম্পত্য জীবন। বাবা-মা, স্ত্রী আর বোনকে নিয়ে ছিল ছোট্ট সংসার। সকালের দিকে বন্ধুদের সঙ্গেও দেখা হয়েছিল তাঁর। কেউই ভাবতে পারছেন না, এত হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত কীভাবে নিলেন তিনি।