Malda Bus Accident Break Fail: ৫৫ জন যাত্রী নিয়ে দুরন্ত গতিতে ছুটছিল বাস। আচমকা বাসের ব্রেক পাইপ ফেটে গেলে ব্রেক ফেল হয়ে যায়। ফলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় বাসটি। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদার কালিয়াচকে। বাসটি মালদা থেকে ফারাক্কা যাচ্ছিল বলে জানা হিয়েছে। এটি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ (Nbstc)-র বাস। ঘটনার পরই বাস চালক থেকে শুরু করে যাত্রীদের মধ্যে মৃত্যুর আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসে। তারপর কী হল? আসুন বিস্তারিত জেনে নিই।
জানা গিয়েছে রবিবার উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসটি এদিন ৫৫ জন যাত্রী নিয়ে রায়গঞ্জ ডিপো থেকে ছেড়েছিল।মালদা পর্যন্ত নির্বিঘ্নে যায়। সেখানে কিছু যাত্রী নেমে যান। আবার মালদা থেকে কিছু নতুন যাত্রী ফরাক্কায় যাওয়ার উদ্দেশে ওঠে। বাসটিতে সেই সময় ৫৫ জন যাত্রী ছিল। বাসটি কালিয়াচকের বালিয়াডাঙা মোড় পার হওয়ার পর বাসের ব্রেকের পাইপ আচমকা ফেটে যায়। ফলে মুহূর্তেই ব্রেক ফেল হয়ে যায় বাসটি। চালকও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। বাসের চলন দেখে বিষয়টি বুঝতে পেরে যান যাত্রীরাও।
মৃত্যুর ভয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি, কান্নার রোল উঠে যায়। প্রথমে হতভম্ব হয়ে যান বাসের চালক রঞ্জিত চৌধুরী। কিন্তু শেষ চেষ্টা করবেন বলে মনস্থ করেন। চালক তাঁর উপস্থিত বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে বাসটির গতি ধীরে ধীরে কমানোর চেষ্টা করেন। বাসটিকে তিনি রাস্তার ডিভাইডারে হালকা করে একাধিকবার ধাক্কা মারতে শুরু করেন। বেশ কয়েকবার ধাক্কা মারার পর বাসটি গতি কমতে কমতে দাঁড় করিয়ে ফেলেন তিনি। বাস দাঁড়িয়ে পড়ায় আনন্দে উচ্ছ্বাসে ভেসে যান বাসযাত্রীরা। এমনকী এতে বাসে থাকা একজন যাত্রীও জখম হননি। সকলের মুখে এখন চালকের প্রশংসা। প্রাণ নিয়ে ফিরবেন ভাবতে পারেননি প্রায় কেউই।
যাত্রীদের প্রাণ বাঁচিয়ে এখন হিরো বাসচালক রঞ্জিত চৌধুরী। পরে রঞ্জিতবাবু একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘জীবনে এমন ঘটনা ঘটেনি। প্রথম এই রকম ঘটনা ঘটল। রায়গঞ্জ থেকে ফরাক্কা যাওয়ার সময় কোনওভাবে ব্রেক পাইপ ফেটে যাওয়ায় আর ব্রেক লাগছিল না। সেই সময় বাস ভাল গতিতে ছিল। এরপর ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে বাস দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন তিনি। যদিও তিনিও নিশ্চিত ছিলেন না, বাস আদৌ থামবে কি না. কিন্তু শেষমেষ কোনও দুর্ঘটনা না ঘটিয়ে বাসটি থেমে পড়ে।