Goud Bangal University: গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক বিভাগের পঞ্চম সিমেস্টারে গোলমাল। অসুস্থ স্ত্রী-র হয়ে পরীক্ষার দিতে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেলেন যুবক। যা নিয়ে গোলমাল বাধে। ঘটনা জানাজানি হতেই চাঁচল থানায় খবর দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। থানার পক্ষ থেকে ওই ভুয়ো পরীক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত প্রথমে দাবি করেন এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুল। পরে জানান, তিনি বোনের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন। গোলমাল বুঝে পরে পরিদর্শক বিষয়টি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে জানান। জানা যায় আসল পরীক্ষার্থীর নাম পুষ্পা চৌধুরী। তিনি মানিকচক কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তাঁর বদলে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন রতুয়ার বাসিন্দা সিদ্ধার্থ শঙ্কর দাস। এরপরই অভিযুক্ত স্ত্রীর হয়ে পরীক্ষা দিতে আসার কথা স্বীকার করে নেন।
শুক্রবার ছিল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক বিভাগের পঞ্চম সিমেস্টারের তৃতীয় দিনের পরীক্ষা। অসুস্থ স্ত্রীর হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন রতুয়ার বাসিন্দা সিদ্ধার্থশঙ্কর দাস। স্ত্রী পুষ্পা চৌধুরীর অ্যাডমিট কার্ডে নিজের ছবি লাগিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন অভিযুক্ত। অ্যাডমিট কার্ড মেলাতে গিয়েই খটকা লাগে পরিদর্শকের। অ্যাডমিট কার্ডে নাম ছিল পুষ্পা চৌধুরী। অথচ ছবি রয়েছে ছেলের। সঙ্গে যে রোল নম্বর এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর রয়েছে তার সঙ্গে হাজিরা খাতা মিলিয়ে দেখেন এক মেয়ের ছবি।
এদিকে এই ঘটনায় তাজ্জব কলেজের অধ্যাপকরা। হতভম্ব ছাত্রছাত্রীরাও। চাঁচল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিত বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুলিশের হাতে ওই ব্যক্তিকে তুলে দিয়েছেন তাঁরা। পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আগের দুটো পরীক্ষায় মেয়েটি নিজেই পরীক্ষা দিয়েছিল। আজকে হঠাৎ সেই জায়াগায় পুরুষ মানুষ দেখে তাঁরা অবাক। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অপূর্ব চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘কলেজের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি রিপোর্ট খতিয়ে দেখে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।’