Tmc Bjp Tufanganj Clash: দুর্গাপুরের চিকিৎসা পড়ুয়াকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে তুফানগঞ্জ থানায় ডেপুটেশন জমা দেওয়ার কথা ছিল দলের। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই শহরজুড়ে তৈরি হয় তীব্র উত্তেজনা। থানার সামনে জড়ো হয় দুই রাজনৈতিক পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা। মুহূর্তের মধ্যেই শুরু হয় তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে তীব্র বচসা, যা পরে রূপ নেয় হাতাহাতি ও ইটবৃষ্টিতে।
সোমবার দুপুরে তুফানগঞ্জ শহরের একাধিক জায়গায় পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশের উপস্থিতিতেই তৃণমূল কর্মীরা লাঠি-সোটা হাতে হামলা চালায় তাঁদের উপর। এমনকি বিজেপির ৯ নম্বর বিধানসভা কেন্দ্রের কো-কনভেনার নিখিল গাবুয়াকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। অভিযোগ ওঠে, বিজেপির বিধায়ক মালতি রাভাকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করে তৃণমূল কর্মীরা। মুহূর্তের মধ্যেই বিজেপি কার্যালয়ের সামনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থকরাই ইচ্ছাকৃতভাবে এই হামলা চালিয়েছে, যাতে ঘোষিত কর্মসূচি ভেস্তে যায়। মালতি রাভা বলেন, “সারা বাংলাতেই এখন আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। মানুষও সেটা দেখছে। রাজ্যে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী আছেন, অথচ মেয়েরা আজ নিরাপদ নয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাতে এসেছিলাম। কিন্তু তৃণমূলের লোকজন পুলিশের সামনেই আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।”
অন্যদিকে, অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তুফানগঞ্জ তৃণমূল সভাপতি গৌতম সরকার সংবাদমাধ্যমকে জানান, “আমাদের এলাকা শান্তিপ্রিয়। কিন্তু বিজেপি এখানে বারবার উস্কানি দেয়। ভোটের পর থেকে মানুষের পাশে একটাও বিজেপি নেতা নেই। শহরে উন্নয়নের নামে কিছুই হয়নি। তাই সাধারণ মানুষের ক্ষোভেই এই প্রতিক্রিয়া।”
তুফানগঞ্জের সোমবারের ঘটনার পর থেকেই শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে নজরদারি জারি থাকবে।