Abhishek Banerjee Dhupguri: ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে ধূপগুড়িকে মহকুমা হিসেবে ঘোষণা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শর্ত একটাই, তৃণমূলকে জেতাতে হবে আর বিজেপিকে সর্ষেফুল দেখাতে হবে। এদিন সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খোলা প্রশ্ন ছু়ড়ে দেন। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, মানুষ কী চান। সবাই বলেন 'মহকুমা চাই'। তিনি বলেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক বা সাংসদ কোনও দিন এ বিষয়ে কিছু বলেননি। ধূপগুড়িতে হারলেও সুবিধা পেয়েছেন। হাসপাতালের মানোন্নয়ন হবে। নদী দিয়ে ঘেরা জলপাইগুড়ি জেলার কৃষিজমিতে জলসেচের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি কথা দেন. ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মহকুমা হবে। মহকুমা হলে হাসপাতাল এমনিতেই মহকুমা হাসপাতাল হবে। বিজেপির একটা নেতা মহকুমা নিয়ে কথা বলেনি বলে দাবি করেন তিনি।
শনিবার ধূপগুড়িতে উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানে তিনি বলেন, “উনিশ, একুশের ভোটে ধূপগুড়ির মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। তবু উন্নয়ন থামেনি। রাজ্য সরকার মানুষের উন্নয়নের কথা ভেবেছে। অথচ যারা ভোট পেয়েছে তারা এলাকার মানুষের কথা ভাবেনি।” এর আগে ধূপগুড়ি হাটের উন্নয়নের আশ্বাস দিয়েছিলেন অভিষেক। সেই কথা তিনি রেখেছেন। হাটের উন্নয়ন হয়েছে ইতিমধ্যে। এবার ধূপগুড়ি হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
এরপরই সভায় ধূপগুড়িকে আলাদা মহকুমা করার দাবি ওঠে। দাবি শুনে অভিষেক বলেন, “আমি কথা দিয়ে কথা রাখি। আমি কথা রাখার ছেলে। আমি দাবি শুনে বলতে পারতাম, মহকুমা হবে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব। কিন্তু আমি নিজের কাঁধে দায়িত্ব নিচ্ছি। এখন থেকে সবুজ আবির খেলতে শুরু করুন। ৩১ ডিসেম্বরের আগে ধূপগুড়ি আলাদা মহকুমা হবে। কথা দিয়ে গেলাম।”
গত ১৫ জুলাই প্রয়াত হন ধূপগুড়ি বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়। তারপরই নির্বাচনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনের দিন ঠিক রয়েছে। বিজেপি যেমন চাইছে আসনটি ধরে রাখতে, তেমনই তৃণমূলও চাইছে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে। বাম-কংগ্রেসও আসনটি দখলের জন্য ঝাঁপিয়েছে।