দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলিতে বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের টহলদারির সময় সন্দেহজনক এক ব্যক্তিকে আটক করে জেরা করতেই তার কাছ থেকে উদ্ধার হল ৩টি সোনার বিস্কুট। যার বাজার মূল্য ২৮ লক্ষ টাকার বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। পায়ে টেপ দিয়ে আটকে সোনার বিস্কুটগুলি পাচার করা হচ্ছিল বলে বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে। সোনা পাচারে ধৃত ওই যুবক স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলে অভিযোগ। যা সামনে আসতেই তা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী সিপিএম-বিজেপি। ঘটনায় অস্বস্তিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হিলি থানার ভীমপুর বিওপির শ্রীরামপুর সীমান্তে হানা দেয় ৬১ নম্বর ব্যাটেলিয়ন বিএসএফের বিশেষ একটি দল। মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ ওই এলাকার সীমান্ত ফটকে তল্লাশি চালিয়ে ত্রিমোহিনীর এক বাসিন্দার শরীর থেকে সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। অন্তত ৩টি সোনার বিস্কুট বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিলেন ওই ব্যক্তি।উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের ওজন প্রায় ৩৩০ গ্রাম। যার বাজার মূল্য ২৮ লক্ষ টাকারও বেশি বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান বিএসএফ আধিকারিকদের।
ওই ঘটনায় ধৃত পাচারকারী ধৃত ব্যক্তিকে দফায় দফায় জেরা করছে বিএসএফ। ধৃতের নাম সঞ্জয় মণ্ডল বলে জানানো হয়েছে। জেরার পর শুল্ক দফতরের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হবে বলে বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃত সঞ্জয় এলাকায় তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত। সঞ্জয়ের স্ত্রী দু'বারের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। যদিও তৃণমূলের তরফে সঞ্জয় দলের কেউ নয় বলে দাবি করেছেন জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল। তবুও অভিযোগ উঠছে যখন বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে বিরোধীরা এ নিয়ে সরব হয়েছেন। বিজেপি জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, তোলাবাজি, ছিনতাই, পাচারে তৃণমূলের সকলেই জড়িত। এদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সিপিএমের জেলা সম্পাদক নন্দলাল হাজরার দাবি, সারা রাজ্যে যত দুর্নীতি চলছে, তার সাথে তৃণমূলের সব ক্ষেত্রে যোগাযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না এটাই স্বাভাবিক।