Udayan Guha Controversy: বিতর্কিত মন্তব্য করে বরাবর লাইমলাইটে থাকেন দিনহাটার তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। কখনও বিজেপি নেতারা বাড়িতে ভোটপ্রচারে গেলে মহিলাদের তাড়া করার নিদান দিয়েছিলেন, আবার কখনও পৃথক রাজ্যের দাবিদারদের হাঁটু ভাঙার হুমকি দিয়েছিলেন। সম্প্রতি আরজি কর ইস্যুতে মহিলাদের রাত দখলের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নিয়েও একাংশ মহিলাদের পোশাক বিধি নিয়ে মন্তব্য করেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। এর মাঝেই বিরোধীদের কামড়ে দেওয়ার কথা বলে ফের বিতর্ক বাধিয়েছেন।
আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের দাবি উঠেছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন তুলছেন আন্দোলনকারীরা। প্রতিবাদের সুর চড়া হচ্ছে প্রতিদিনই। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছে বিজেপি। এদিকে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনে দোষীদের শান্তি দাবিতে প্রতিবাদ-কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্যেক শাসক দল তৃণমূলও।
রবিবার কোচবিহারের দিনহাটায় এমনই একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের। সেখানে মন্ত্রী উদয়ন গুহ বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন। যা নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। বিরোধীদের আন্দোলন ও প্রতিবাদের পাল্টা দেওয়ার পরামর্শ দিতে গিয়ে উদয়ন বলেন, “পরিকল্পিতভাবে বদনাম করা হচ্ছে । মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন । সাজিয়ে গুছিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে । এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে । তা না হলে এসব বাড়তে থাকবে । তাই ১ বার কেউ দংশন করলে, ৫ বার দংশন করতে হবে। ওরা যদি একটা দাঁত বসায়, তাহলে আমরা পাঁচটা দাঁত বসানোর বন্দোবস্ত করতে হবে। তাহলে মিথ্যাচার বন্ধ হবে।”
এর আগে রাত দখলের আন্দোলনের আগেও উল্টো সুর গেয়েছিলেন উদয়ন। হুমকির সুরেই বলেছিলেন, ‘ দিনহাটার কেউ কেউ কাল রাতের দখল নিতে চাইছেন। আমার সমর্থন থাকল। তবে স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে রাতে ফোন করবেন না।’ তিনি বলেন, “গ্রামের মদের ঠেক বা লটারির দোকান এসবের বিরুদ্ধে যখন আন্দোলন হয়, তখন গ্রামের সাধারণ মহিলারাই আন্দোলন করেন। কোনও জিন্স প্যান্ট পরিহিতা সেখানে আন্দোলন করেন না। কারণ সেই আন্দোলন কোনও টিভিতে দেখা যায় না। তারা সেসব আন্দোলন-ই করেন যেগুলো টিভিতে দেখা যায় বা ইংরেজি পত্রিকায় ওঠে।” সে সময়েও বিতর্ক উঠেছিল তুঙ্গে। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “রাজনীতি করলে এই ধরনের কথা বলার অধিকার কোথা থেকে এসেছে। মানুষই জবাব দেবে।”