আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে। ৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা। যার জন্য ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২১ অগস্ট। ইতিমধ্যেই বাম-কংগ্রেস জোট এই কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। উত্তরবঙ্গে ভাওয়াইয়া লোকগানের জনপ্রিয় শিল্পী ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে প্রার্থী করেছে বামেরা। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বামফ্রন্ট প্রার্থীকে সমর্থনের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবারই ঈশ্বরচন্দ্রের নাম ঘোষণা করেছে বামেরা। বিজেপি এখনও প্রার্থী দেয়নি। এদিন নিজেদের প্রার্থীর নাম জানাল তৃণমূল।
ধূপগুড়িতে গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জিতেছিল বিজেপি। ২০২১ সালে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন মিতালি রায়। তাঁর বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়ে জেতেন বিজেপির বিষ্ণুপদ রায়। কিন্তু গত ২৫ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন বিষ্ণুপদবাবু। এরপরই ধূপগুড়ি বিধানসভা আসনটিতে বিধায়ক পদ শূন্য হয়ে যায়। ফলে উপনির্বাচন আসন্ন হয়ে পড়ে। এবার সেই নির্বাচনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল।
নাম ঘোষণা করার পরই শুরু হয়েছে আলোচনা। প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায় ওই নির্বাচনে গত বিধানসভায় দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূলের হয়ে। তাঁকে উপনির্বাচনের আর টিকিট দিল না তৃণমূল। রবিবার তৃণমূলের তরফে একটি টুইট করে জানিয়ে দেওয়া হল, দলের নতুন প্রার্থী হতে চলেছেন নির্মলচন্দ্র রায়। যিনি পেশায় একজন অধ্যাপক এবং একই সঙ্গে রাজবংশি সম্প্রদায়ের মানুষও। মিতালি গতবার দাঁড়িয়ে হেরেছিলেন। তাঁকে ছেঁটে ফেলল দল।
রাজ্যে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার বছরে অর্থাৎ ২০১১ সালে এবং ২০১৬তে ধৃপগুড়ি ছিল তৃণমূলেরই দখলে। একদা কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে লড়াই করা মিতালিকে নিজেদের মুখ বানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মিতালিও প্রার্থী হওয়ার পর বলেছিলেন, কামতাপুরের দাবিতে আন্দোলন করা ঠিক হয়নি তাঁর। এর পর তৃণমূলের টিকিটে ধূপগুড়িতে ভোটেও জেতেন মিতালি। কিন্তু ২০২১ সালের আগে মিতালির বিরুদ্ধে বহু লক্ষ টাকার চাকরি দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগ তৎকালীন বিধায়ক মিতালি অস্বীকার করলেও ভোটে প্রভাব পড়ে। ২০২১ সালে প্রথম ধূপগুড়ি বিধানসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী বিষ্ণুপদবাবু জিতে যান। ফলে এবার আর তাঁর উপর ভরসা রাখল না দল।
রাজ্যে এখনও নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা নিয়ে সমস্যা জারি রয়েছে। সে জন্য এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলের কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত প্রাক্তন বিধায়ককে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। বদলে তুলে এনেছে এক রাজবংশী অধ্যাপককে। তাঁর ইমেজ নিয়ে দলে বা দলের বাইরে কোনও নেগেটিভ ওয়েভ নেই।