অশান্ত নেপাল, এই খবর পেয়েই উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে ইন্দো-নেপাল সীমান্তে। প্রতিবেশী দেশে অশান্ত পরিবেশের প্রভাব পড়তে পারে সীমান্ত এলাকায়। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। বুধবার সরাসরি ইন্দো-নেপাল সীমান্ত পরিদর্শন করেন তিনি। সূত্রের খবর, আজ দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল। ভারত নেপাল সীমান্ত পরিদর্শনের পর রাজ্যপাল বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে কলকাতা থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন তিনি। সেখান থেকে সোজা যান রানিডাঙায় এসএসবির উত্তরবঙ্গ সদর কার্যালয়ে। সেখানে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তার পর রওনা দেন পানিট্যাঙ্কি সীমান্তে। সীমান্তের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পানিট্যাঙ্কি সেতুর মাঝ পর্যন্ত হেঁটে যান বোস। কথা বলেন এসএসবি ও পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে। সীমান্ত বন্ধ থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে যে প্রভাব পড়ছে, তাও জানান বাসিন্দারা।
বুধবার পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত পরিদর্শন শেষে রাজ্যপাল সাংবাদিকদের বলেন, 'এসএসবি খুব ভাল কাজ করছে। চিন্তার কিছু নেই। প্রয়োজনে নিজেরাই নিরাপত্তা আরও জোরদার করবে। আমি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলাম। পর্যবেক্ষণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও বিদেশ মন্ত্রককে জানাব।'সেই রিপোর্ট জমা দিতেই আজ দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল।
এদিকে, রাজ্যপাল যেতেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ভারত-নেপাল সীমান্ত পরিদর্শনে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম এবং শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ। বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উত্তরবঙ্গে রয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে কলকাতায় ফিরবেন ৷ মমতা বলেন,' যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় তাহলে হয়তো আমাকে এখানে থেকে যেতে হবে ৷ কারণ, আমাদেরও একটা দায়িত্ব রয়েছে ৷'