Malda Murder Case: স্বামীকে খাবারে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। কোচবিহারের মাথাভাঙার ঘটনা। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তীব্র ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে স্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবিতে। খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে যায় মাথাভাঙা থানার পুলিশ। অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। বাড়ি থেকে বিষের শিশিও উদ্ধার করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম পিন্টু ওরাওঁ (৪০)। তিনি পূর্ত দফতরে কর্মরত ছিলেন। মাথাভাঙাতেই (Mathabhanga) তাঁর অফিস। ভাড়া বাড়িতে থাকতেন শহরেরই ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁর সঙ্গে স্ত্রী ছাড়াও থাকত দুই সন্তান। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে স্বামীর-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত। চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেতেন তাঁরা।
এই অশান্তির জেরেই গতকাল রাতে সবজিতে বিষ মিশিয়ে স্বামীকে খেতে দিয়েছিলেন স্ত্রী। সেই খাবার খাওয়ার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন পিন্টু ওরাওঁ। সারারাত তিনি সেভাবেই বাড়িতে ছিলেন। বুঝতেও পারেননি তাঁকে বিষ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর পাকস্থলীতে বিষ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
চিকিৎসকদের কাছ থেকে মৃত্যুর রিপোর্ট পেয়ে মৃতের বাড়িতে তদন্তে যান পুলিশ। পুলিশি জেরায় পিন্টুবাবুর স্ত্রী স্বীকার করেন, খাবারে মিশ মিশিয়েছেন তিনি। এরপরই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
এর মাত্র ২ সপ্তাহ আগে মালদার কালিয়াচকে মেয়ের শ্বশুর ও জামাইকে ধারালা হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথারি কোপায় মেয়ের বাবা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শ্বশুরের। হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথারি কোপানো হয় তাঁদের। আশপাশের লোকজন দেখতে পেয়ে ছুটে গেলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই দু’জনকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে তাজমুলের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার তদন্তও চলছে।