সন্ধে বেলায় বাড়ি ফেরার পথে মনটা যখন খাই খাই করে, তখন বাটি ভরে কেউ যদি সামনে একটু চাট এনে দেয়, তাহলে তো কথায় নেই। আলু চাট, পাপড়ি চাট! পিঁয়াজ দিয়ে মশলাটশলা মাখিয়ে তার সঙ্গে ঝুড়ি ভাজা। আর তার উপর ঠাণ্ডা দই যখন জাপটে ধরে, তখন মনে হয় মুখের মধ্যে বিপ্লব ঘটে যায়। হুম ভাবলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। তবে চাট খেয়ে পেট পুজো হয়ে গেলে আমরা বাটিটা ফেলে দিই। কিন্তু এবার আপনাকে ভাবতে হবে আপনি চাট খাবেন নাকি বাটি খাবেন। শুনে অবাক হচ্ছেন তো। হ্যাঁ এমন অভিনব বাটি চাট বানিয়েছেন কালিয়াগঞ্জের বাপন চক্রবর্তী। এই চাট একেবারে হেলদি। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের বিবেকানন্দ মোরে রেল ঘোমটির পাশে রয়েছে বাপন চক্রবর্তীর চাট ভান্ডার। যার বিশেষত্ব হল এখানে চাটের সঙ্গে খেতে হবে বাটিও। এই চাট মন জয় করেছে সবার। আপনারা ভাবছেন বাটি আবার কিভাবে খাওয়া যাবে। কিন্তু হ্যাঁ বাপন বাবু যে বাটি তৈরি করেছেন সেটি পুরোপুরি পাপড়ি দিয়ে। তাই সেই বাটিও অনায়াসে আপনি খেয়ে নিতে পারবেন। শুধু তাই নয় এই বাটি সহ চ্যাট এতটাই মুখরোচক যে বহু দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসে কেউ কেউ দাঁড়িয়ে খেয়ে নিচ্ছেন আবার কেউ কেউ বাড়িতেও নিয়ে যাচ্ছেন প্যাকেট বন্দি করে। বাপন চক্রবর্তী জানান তার এই দোকান পয়লা বৈশাখ থেকে শুরু করলেও এখন তার দোকানের জনপ্রিয়তা দিনে দিনে তুঙ্গে । তিনি বলেন তার এই বাটি ময়দা ও সুজির পাপড়ি দিয়ে তৈরি । সেই বাটির মধ্যে বিভিন্ন রকমের স্যালাড এর মধ্যে থাকে আলু, ছোলা ,শশা ,বিট ,গাজর এবং দই। বাপন বাবু বলেন তার দোকানের এই চাট তিনি এতটাই মুখরোচক বানান যে কেউ একবার খেলেই বারবার তার দোকানে আসেন বাটি চাট খেতে। চাট বিক্রির সঙ্গে বাপন বাবু হাসপাতালেও কাজ করেন।