রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যে কে কাকে ভোট দেবে, কী হবে- এই ভাবনাতেই মাথায় যেন ভার হয়ে যায়। তখন যদি এক কাপ চা পাওয়া যায়, তাহলে তো কথাই নেই। আর সেই চা যদি আপনাকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বানিয়ে খাওয়ান তাহলে অবাক হওয়াটা কি খুব অস্বাভাবিক? এমনিতেই ভোটপ্রচারে শাসক বিরোধী ঝামেলায় উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে বাংলা। এই বোধ হয় গুলি চলল, বোমা পড়ল পড়ল ভাব। এই পরিস্থিতিতে নিজেই চা বানিয়ে সকলকে খাওয়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে চাকে বিষয় করে জনসংযোগ সেরে ফেললেন, অন্যদিকে মানুষের মনটাও পড়ে ফেলতে পারলেন। আসলে আমাদের কাছে চা তো একটা ইমোশন। তাই হাতে চা পেলে কী না হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রী দোকানে দুম করে ঢুকে চা বানাবেন, সেটা ভাবতে পারেননি দোকানদার। তিনি তো পাশে দাঁড়িয়ে তখন হতবাক। ভাবছেন একী হচ্ছে। আর মুখ্যমন্ত্রীর চা বানানো যে পাশে দাঁড়ানো লোকজন ভিডিও করবেন না তাই বা হয় নাকি। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েতের আবহে জমজমাট মুখ্যমন্ত্রীর জলপাইগুড়ি সফর। চা তৈরি করে যে শুধু থেমে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাও নয়। ঠিক বাড়ির কর্ত্রী যেভাবে কাপে চা ঢেলে ট্রে করে পরিবেশন করেন, সেই কাজটাও তিনি করলেন। তবে রাজনীতির ভাষণের মাঝে রান্নাবান্না করতে মুখ্যমন্ত্রীকে আগেও দেখা গেছে। সেবার তো মোমো আর ফুচকা বানিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। আসলে রাজনীতিক দলের প্রধানরা আদৌ মাটির কাছে কিনা, সেটা প্রমাণ করার একটা লড়াই চলে। সেই লড়াইয়ে মোদি-মমতা কেউই বাদ যান না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাঁর বাড়িতে কেউ গেলে তিনি চা বানান, তবে এখানে বানাতে পারবেন না কেন? আসলে সবটাই ভোটের দাওয়াই, বলেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।