Advertisement

২১ জুলাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা বাতিলে বিতর্ক, শাসকদলের 'শহিদ দিবস' বলে? খোঁজ নিল bangla.aajtak.in

২১ জুলাই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস শহিদ দিবস পালন করে কলকাতায়। ধর্মতলায় বিরাট সমাবেশ হয়। সমাবেশে মূল বক্তা তৃণমূল সুপ্রিমো ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

২১ জুলাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা বাতিলে বিতর্ক, শাসকদলের 'শহিদ দিবস' বলে? খোঁজ নিল bangla.aajtak.in২১ জুলাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা বাতিলে বিতর্ক, শাসকদলের 'শহিদ দিবস' বলে? খোঁজ নিল bangla.aajtak.in
Aajtak Bangla
  • পুরুলিয়া,
  • 18 Jul 2025,
  • अपडेटेड 12:54 PM IST
  • ২১ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২৫ জুলাই পরীক্ষা নেওয়া হবে
  • ২১ জুলাই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস শহিদ দিবস পালন করে

পুরুলিয়ার সিধু কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার দিন বদল নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। ২১ জুলাই ওই বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ইউজি সেকেন্ড সেমেস্টারের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। যদিও ১৬ জুলাই অর্থাৎ বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরীক্ষার দিন বদল করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, ২১ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২৫ জুলাই পরীক্ষা নেওয়া হবে। যা নিয়েই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। কারণ, ২১ জুলাই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস শহিদ দিবস পালন করে কলকাতায়। ধর্মতলায় বিরাট সমাবেশ হয়। সমাবেশে মূল বক্তা তৃণমূল সুপ্রিমো ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যের সব জেলা থেকে অসংখ্য নেতা কর্মী ও সমর্থক ২১ জুলাই কলকাতায় যান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শুনতে জেলাগুলি থেকে বাসে, ট্রেনে ও অন্য গাড়িতে করে বহু মানুষ ধর্মতলায় আসেন। পুরুলিয়া থেকেও আসেন তৃণমূলের নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা। তাই পরীক্ষা বদল নিয়ে রাজনীতির গন্ধও পাচ্ছে বিরোধীরা। বিরোধীদের বক্তব্য, ছাত্র ছাত্রীরা যাতে শহিদ দিবসের সমাবেশে যেতে পারে তার জন্য পরীক্ষার দিন বদল করা হয়েছে।

যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য, অনেকগুলো সেন্টারে পরীক্ষা হবে। দূর দূরান্ত থেকে ছাত্র ছাত্রীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে আসবেন। ওই দিন রাস্তায় যানজট হওয়া, বাস না পাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। তাই পরীক্ষার দিন বদল করা হয়েছে। আর সেটা করা হয়েছে ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে আসার অনুরোধের পরেই।

আরও পড়ুন

সিধু কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক সুবল চন্দ্র বলে bangla.aajtak-কে বলেছেন, '২১ জুলাই দুটি পরীক্ষার দিন ছিল, একটা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট, আরেকটা আন্ডার গ্র্যাজুয়েট। আমরা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পরীক্ষার দিন বদল করিনি। কারণ ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগই হস্টেলে থাকেন। কিন্তু, ইউজি পরীক্ষা সারা জেলার ১৩টি সেন্টারে হয়। বান্দোয়ানের ছেলেকে মানবাজার যেতে হয়, উল্টোটাও হতে পারে। ছাত্র ছাত্রীরা বাসের ওপরে নির্ভর। তাই ২১ জুলাই রাস্তায় বেরিয়ে সমস্যা পড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে অনেক ছাত্র ছাত্রী আবেদন করেছিলেন। তাই কেউ ফাইনাল পরীক্ষা দিতে না পারলে দায় আমাদের সবার ঘাড়ে পড়বে। তাঁদের আবেদন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই পরীক্ষার দিল বদল হয়েছে। এখানে অন্য কিছু নেই।'

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement