হাওড়া পুর এলাকার শোচনীয় অবস্থা নিয়ে গত মাসেই নবান্নে তীব্র ভর্ত্সনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই হাওড়াতেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। বুধবার প্রবল বৃষ্টিতে জমা জলে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক কলেজ ছাত্রীর। ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।
বাবার ইলেক্ট্রিকের সরঞ্জামের দোকান
গত দুদিন ধরেই কলকাতা, হাওড়া স দক্ষিণবঙ্গে টানা বৃষ্টি চলছে। ফলে বহু এলাকায় জল জমে গিয়েছে। হাওড়াতেও একটি বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। বুধবার রাত ৯টা নাগাদ সালকিয়ার বাঁধাঘাট মোড়ের কাছে তাঁতিপাড়ায় পূরবী দাস নামে এক বছর বাইশের যুবতী বোনের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠান বাড়ি যাচ্ছিলেন। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় হাঁটুর উপরে জল। বাবার ইলেক্ট্রিকের সরঞ্জামের দোকান। সেই দোকানের কাছেই হঠাত্ ছিটকে পড়েন পূরবী। পূরবীর বাবা নিজে ইলেকট্রিশিয়ান হওয়ার কারণে তিনি চিৎকার করে মেইন সুইচ বন্ধ করার কথা বলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় ওই যুবতীকে গোলাবাড়ি থানা এলাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
ল্যাম্পপোস্ট থেকে কোনও বিদ্যুতের তার কাটা অবস্থায় ঝুলছিল
খবর পেয়ে CESC এলাকায় বিদ্যুত্ সংযোগ ছিন্ন করে দেয় বেশ কিছুক্ষণ। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত করছে মালিপাঁচঘরা থানার পুলিশ। পুলিশের প্রথামকি অনুমান, সামনের ল্যাম্পপোস্ট থেকে কোনও বিদ্যুতের তার কাটা অবস্থায় ঝুলছিল। সেটা থেকেই বিদ্যুৎপৃষ্টের ঘটনা ঘটে।
কেউ বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হলে কী করা উচিত?
বর্ষায় জমা জলে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। অতীতেও বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কেউ যদি বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়, তাহলে তত্ক্ষণাত্ যা করা উচিত, তা হল, সবচেয়ে প্রথমে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করতে হবে। পায়ে জুতো বা স্যান্ডেল পরে, শুকনো কাঠের টুকরো, বাঁশ, রাবার দিয়ে তৈরি কোনকিছু দিয়ে, দূরত্ব বজায় রেখে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে বৈদ্যুতিক উৎস থেকে আলাদা করতে হবে। কোনভাবেই নিজে খালি হাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে স্পর্শ করা যাবে না। কোনভাবেই ধাতব এবং ভেজা কিছু ব্যবহার করা যাবে না।