বীরভূমে কী পুস্পা রাজ শুরু? বীরভূম জেলার রামপুরহাট রেঞ্জ এলাকায় রক্ত চন্দন অর্থাৎ লাল চন্দন গাছ কেটে নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দিচ্ছিল রাতের অন্ধকারে। শেষপর্যন্ত কাঠ পাচার করতে গিয়ে পুলিশের জালে চার দুষ্কৃতি ধরা পড়ল। পুলিশ সূত্রে জানা যায় রবিবার গভীর রাতে রামপুরহাট থানার হস্তি কাঁদা গ্রামের একটি জঙ্গলে দুটি লাল চন্দন গাছ কেটে ফেলেছিল বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রামপুরহাট থানার পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি ট্রাক্টর, একটি মোটর বাইক ও একটি চারচাকা গাড়ি।
পুলিশ ও বনদফতরের উদ্যোগে প্রথমে ৪ জনকে আটক করা হয়। পুলিশ ৪ অভিযুক্তকে রামপুরহাট আদালতে পেশ করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ বন্যসংরক্ষণ যে আইন রয়েছে সেই আইন মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ এই মহূর্তে তদন্ত চালাচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছে? কীভাবে পাচার করছে বনের কাঠ? এমনকী বনের মধ্যে থাকা চন্দন-সহ মূল্যবান গাছ গুলো কেটে চুরি করছে, সেই সমস্ত প্রসঙ্গে তদন্ত শুরু হয়েছে।
মাসরা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হস্তীকান্দা জঙ্গলে গাছ কাটার শব্দ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করেন এবং দেখতে পান যে কিছু লোক বনভূমি থেকে গাছ কেটে চুরি করছে। তারা দুটি লাল চন্দন গাছ -সহ বেশ কয়েকটি গাছ কেটে ফেলেছে। পুলিশ পৌঁছে ৪ জন দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার করে এবং একটি ট্রাক্টর, একটি মোটরসাইকেল ও একটি ছোট গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে। গাছের ডালগুলি নিকটবর্তী বন দফতর অফিসে রাখা হয়েছে।
সংবাদদাতাঃ শান্তনু হাজরা