অপারেশন সিঁদুরের পরবর্তী সময়ে যখন গোটা দেশ ভারতীয় সেনেরা শৌর্য ও বীরগাঁথাকে স্যালুট করছে তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একাংশ নাগরিক দেশবিরোধী পোস্ট করছেন। দেশের সঙ্গে গদ্দারি করে যাঁরা এইসব পোস্ট করছেন তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলাও রুজু করছে পুলিশ। রাজ্যেও একাধিক জায়গায় এই ধরনের পোস্ট করে গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েকজন। দেশর প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে এই দেশদ্রোহীদের। এমনই এক দেশবিরোধীর সন্ধান মিলল পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের গোপালপুরে।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে পাকিস্তানের হয়ে দেশবিরোধী পোস্ট করার অভিযোগ উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিযুক্তকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় জনতা। এরপর কাঁকসা থানার পুলিশ এসে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এরপর মেল মারফত থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে শাসক-বিরোধী সব রাজনৈতিক দলই।
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে পাকিস্তানের হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। অভিযুক্তকে আটকে রেখে তুমুল বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। শেষে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় দুর্গাপুরের কাঁকসার গোপালপুর উত্তরপাড়ায়। এই ঘটনায় মেল মারফত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে কাঁকসা থানায়।
ঘটনার সূত্রপাত দিন কযেক আগে। উত্তরপাড়ায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন বক্তার শেখ নামে এক রাজমিস্ত্রি। প্রতিনিয়ত পাকিস্তানের হয়ে অভিযুক্ত ওই রাজমিস্ত্রি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে পাকিস্তানের হয়ে দেশবিরোধী বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করছিল। শুক্রবার, ৩০ মে সকালে অশান্তি চরমে পৌঁছয়। শেখ বক্তার নামে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে ঘিরে রেখে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয় মানুষ। খবর পৌঁছয় কাঁকসা থানায়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে অভিযুক্ত শেখ বক্তারকে কাঁকসা থানায় নিয়ে আসে। কী করে এটা হয়ে গেল বুঝে উঠতে পারছি না। প্রতিক্রিয়া শেখ বক্তারের।
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব অভিযুক্তর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। অভিযুক্তর শাস্তির দাবিতে সরব গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গণেশ মন্ডল, পাক চরবৃত্তি করছে না তো অভিযুক্ত সন্দেহ তৃণমূল পঞ্চায়েত উপপ্রধানের। গোটা ঘটনার জেরে চাপা উত্তেজনা গোপালপুর উত্তরপাড়ায়।