গাইঘাটার ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সফরের আগেই প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় ঠাকুরবাড়িতে। কালো পতাকা নিয়ে জমায়েত করে মতুয়াদের একাংশ। ঠাকুরবাড়ির অধিকাংশ জায়গায় পড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী পোস্টার। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিরাট পুলিশ বাহিনী যায়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় চলে যায় যে মন্দিরের গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভেঙে ফেলা হয় অভিষেকের কর্মসূচি উপলক্ষ্যে তৈরি হওয়া তোরণ। মতুয়া নাটমন্দিরে কেন পুলিশ? পাল্টা প্রশ্ন তোলেন শান্তনু ঠাকুরের। অভিষেক চলে যাওয়ার নাটমন্দির গোবরজলে শোধন হবে বলেও জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
প্রবল বিক্ষোভের মধ্যেই ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছন অভিষেক। তাঁকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান ওঠে। বিক্ষোভের জেরে মূল মন্দিরে পৌঁছতে পারেননি অভিষেক। পাশের মন্দিরে পুজো দেন তিনি। পরে যান বড়মার ঘরে। পুজো দেওয়ার পরে বেরিয়ে এসে অভিষেক বেশ খানিকক্ষণ বক্তব্য রাখেন। আজকের বিক্ষোভের পিছনে তিনি সরাসরি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে দায়ী করেন।
শান্তনুতে পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিয়ে অভিষেক বলেন, 'আমি ৩ মাস অন্তর ঠাকুরবাড়িতে আসব, দম থাকলে আটকে দেখাক।' শান্তনুকে উদ্দেশে করে তিনি আরও বলেন, "উনি যে বাড়িতে থাকেন, সেখানকার জলের ব্যবস্থা মমতা করেছেন। যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে তৃণমূলকে চমকাচ্ছেন সেই রাস্তাও মমতার করে দেওয়া। চাইলে ভিড় ভেঙে মন্দিরে ঢুকতে ৫ মিনিট লাগবে। ধর্মকে সামনে রেখে রাজনীতি করছেন শান্তনু ঠাকুর। মতুয়াদের মাটিকে কালিমালিপ্ত করল এই শান্তনু ঠাকুর ও তার গুন্ডাবাহিনী। এই ঠাকুরবাড়ি কারও সম্পত্তি নয়। এটা মানুষের আবেগের জায়গা। চাইলে লোকজনকে সরিয়ে দিয়ে ঢুকে যেতে পারি। আমা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও-র রাজনীতি করি না। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে মহিলাদের ওপরে আক্রমণ করানো হয়েছে। আমার কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না, আমি শুধু পুজো যেতে এসেছিলাম। মতুয়া মন্দির কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। আগামী দিনে মানুষ এর জবাব দেবে। যারা ধর্মকে সামনে রেখে রাজনীতি করছে, আগামীদিনে তাদের তাদের পতন অনিবার্য।'