মঙ্গলবার দুপুর। কংগ্রেস কর্মীর হাত থেকে ফর্মভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তার প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বিকেল চারটে থেকে অবস্থান শুরু করেছিলেন তিনি। এখনও অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন। রাতভর ওই বড়ঞা BDO অফিসের সামনেই বসে ছিলেন তিনি।
অধীর চৌধুরীর অভিযোগ বড়ঞার বিডিও তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন। তাঁদের কোনও সহযোগিতা করা হয়নি। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে এই কথা বলে জল, আলোর ব্যবস্থাও করা হয়নি। সূত্রের খবর এর সুরাহা চেয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠিও লিখেছেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা।
অধীর চৌধুরী বুধবার আরও জানান, তাঁকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন। যে পিস রুম তিনি খুলেছেন সেখানে অভিযোগ জানানোর জন্য আবেদন করেছেন। রাজ্যপাল তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, অভিযোগ জানালে তিনি নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেবেন এর সমাধানের। অন্যদিকে হাইকোর্টেও এ নিয়ে মামলা দাখিল করেছেন অধীর। অর্থাৎ একদিকে আইনি লড়াই, অন্যদিকে বড়ঞা প্রশাসনকে চাপে রাখতে চোয়াল শক্ত করে সেখানে পড়ে থাকা—দু’টো একসঙ্গে করছেন বহরমপুরের সাংসদ।
অধীরের দাবি, বড়ঞার সমস্ত কংগ্রেস প্রার্থীকে বি ফর্ম জমা দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে। যদিও এই নিয়ে প্রশাসন বা নির্বাচন কমিশনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
অধীর বলেন, 'আমাদের বৈধ দাবি এখনও মানা হয়নি। কংগ্রেস পার্টির যে প্রতীক সেই হাত প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। মঙ্গলবার আমাদের দলের নেতারা এসেছিলেন প্রতীক জমা দিতে। তবে পুলিশ ও বিডিও-র সাহায্যে সেই প্রতীক ছিনিয়ে নেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আমাদের নেতাদের মারধরও করা হয়। তার প্রতিবাদে আমি অবস্থানে বসেছি। কিন্তু আমাদের দাবি মানা হয়নি।'