সবে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে রানওয়ে ছেড়ে বেরিয়েছিল বিমানটি। তার পরই বিপত্তি। বন্ধ হয়ে যায় ইঞ্জিন। মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের ছাদে গিয়ে ভেঙে পড়ে বিমান। প্রাণ হারান প্লেনের যাত্রী সহ হোস্টেলে বসবাসরত বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। ঘটনার পর গোটা দেশেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। আর এ বার সেই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনাকে সামনে রেখে একটি থিম পুজো হয় হুগলিতে। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার পর থেকেই তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। অনেকেই এই থিমকে একবারেই অসংবেদনশীল বলে মনে করছেন।
যতদূর খবর, এই প্যান্ডেলটির মূল থিম হল এয়ার ইন্ডিয়ার প্লেন ক্র্যাশ। এখানে বিমানটি ভেঙে পড়া অবস্থার প্রতিচ্ছবি দেখানো হয়েছে। আর সেটা দেখেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী। তাদের মতে, এটা কোনও পুজোর থিম হতেই পারে না। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তাই এমন বিষয়কে থিম করে আদতে এই ঘটনায় প্রাণ হারানো মানুষগুলির প্রতি অশ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
কী বলছে পুজো কর্তৃপক্ষ?
যদিও কাউকে অসম্মান বা অমর্যাদা জানানোর উদ্দেশ্য পুজোর ছিল না বলে জানানো হয়েছে। উল্টে যাঁরা সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোই উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সোশ্যাল মিডিয়া কী বলছে?
এই থিম নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। তাদের মধ্যে অনেকেই এই থিমকে অসংবেদনশীল এবং লজ্জার বলে মনে করছেন।
অনেকের মতে, এই থিমটা করে আদতে সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো মানুষগুলিকে অপমান করা হয়েছে।
এক নেটিজেন বলেন, 'আমি ভাবতেই পারছি না যে কোন মিটিংয়ে সব কর্মকর্তা এই আইডিয়া মেনে নিল।'
আরও একজন জানান, 'এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘিরে থিম সত্যিই অত্যন্ত সংবেদনশীল।'
তবে এই প্রথম নয়, এর আগে নাগপুরে গণেশ পুজোতে এই ক্র্যাশকে থিম করে পুজো হয়। সেটা নিয়েও শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। অনেকেই সেই পুজোর থিমের দিকেও আঙুল তোলেন। যদিও আবার একবার সেই একই জিনিস হল বাংলায়। এখানেও সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাকে পুজোর থিম হিসেবে তুলে ধরা হল। এর ফল যা হওয়ার ছিল, তাই হল। অনেকেই ক্ষোভ উগড়ে দিল।
যদিও এখনও পুজো কমিটির পক্ষ থেকে থিম নিয়ে ক্ষমা চাওয়া হয়নি বলে খবর। বরং তারা এই কাজটা মৃতদের সম্মান জানাতেই করেছেন বলে দাবি।