
রান্নাঘর আর চাষের কাজ সামলেও যে ফুটবল পায়ে এরকম দৌড়নো যায়, তা দেখিয়ে দিলেন সুন্দরবনের মহিলারা। শাড়ি পরেই ফুটবলের ময়দান কাঁপালেন তাঁরা। নদীর চরে ম্যানগ্রোভ রোপণের মতো কঠিন কাজের পাশাপাশি এবার তাঁরা নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরলেন ফুটবল মাঠে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী ব্লকের রানীগড় গ্রামে এক বিশেষ ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল গয়েশপুর হামরাহী ট্রাস্ট ও ঝড়খালি সবুজ বাহিনী। হেমা কয়াল, মনরমা সরকার, বন্দনা মন্ডল, শিবানী মন্ডল, মলিনা বৈরাগীরা ফুটবল পায়ে এদিন মাঠ দাপিয়ে বেড়ালেন। বালা দেবী, অঞ্জু তামাং, অদিতি চৌহানের মতো মহিলা ফুটবলারদের নাম না জানলেও, পায়ে বল পেলে বিপক্ষের গোলে তা ঢোকানোর কৌশল কিন্তু ভালোই জানেন তাঁরা।
এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া মহিলারা প্রতিদিনের পরিশ্রমের মধ্যেও খেলায় অংশগ্রহণ করে দারুণ উচ্ছ্বসিত। খেলার শেষে আকর্ষণীয় পুরস্কার পেয়ে তাঁরা আরও উৎসাহিত হলেন। তাঁদের অনেকেই বলছেন, এই প্রথমবার মাঠে নেমে ফুটবল টুর্নামেন্টে খেললেন। নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করলেন।
প্রথমবার রোজর একঘেয়ে কাজের রুটিন ছেড়ে ফুটবল ম্যাচে অংশগ্রহণ করতে পেরে তাঁরা অত্যন্ত আনন্দিত। হার-জিতের চেয়ে খেলায় অংশ নেওয়াটাই তাঁদের কাছে বড় প্রাপ্তি।
আয়োজকদের বক্তব্য, সুন্দরবনের মহিলাদের প্রতিভাকে সবার সামনে তুলে ধরার জন্যই এই আয়োজন। পাশাপাশি, তাঁদের স্বাবলম্বী করতে বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও মহিলাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
ফুটবল খেলার মাধ্যমে মহিলারা যেমন শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছেন, তেমনি সমাজেও নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করছেন। আয়োজকদের আশা, আগামিদিনে আরও বেশি সংখ্যক মহিলা এই ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন এবং নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরবেন।
সংবাদদাতা- প্রসেনজিৎ সাহা