রাজ্যে বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে চলেছে ততই রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। এরমধ্যেই ঘটছে দলবদল। কোথাও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া চলছে। কোথাও আবার কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে। এরমধ্যেই নজর কাড়ল বাঁকুড়ায় একটি দলবদলের ঘটনা। দুপুরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন বাঁকুড়ার চিঙ্গানি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য গণেশ মল্ল । কিন্তু বেলা গড়াতেই ফের ফিরে গেলেন পদ্ম শিবিরে।
প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন গণেশ মল্ল এবং তারাপদ পাল। তৃণমূলে যোগদানের পরে রাজ্যের শাসক শিবিরের নেতৃত্বের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। সেখানে বিজেপি শিবিরের অনেক দুর্নামও করেন এই দুই দলত্যাগী। কিন্তু পরে মন বজলান গণেশ মল্ল। তাঁর দাবি, ভুল বুঝিয়ে তাঁকে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছিল। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের চিঙ্গানী গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩ টি আসনের মধ্যে ৭ টি আসন পেয়ে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। ৪ টি আসন পায় তৃনমূল। ১ টি করে আসনে জয়লাভ করে সিপিএম ও আইএসএফ। পরে সিপিএম-এর নির্বাচিত সদস্য তৃণমূলে যোগ দিলেও ওই পঞ্চায়েত থেকে যায় বিজেপির দখলেই। সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলায় বিরোধী পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে নিজেদের কব্জায় নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শাসক দল তৃণমূল। বুধবার দুপুরে চিঙ্গানী গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারকাঁটা ২৬০ এ ও ২৬০ বি এই দুটি বুথ থেকে নির্বাচিত বিজেপি সদস্য তারাপদ পাল ও গনেশ মল্লকে নিজেদের দলে যোগদান করায় তৃণমূল। রীতিমতো ঘটা করে তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক কার্যালয়ে ওই দুই পঞ্চায়েত সদস্যর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুব্রত দত্ত। এরফলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন যায় তৃণমূলের দখলে। কিন্তু ১২ ঘণ্টা পার না হতেই সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া দুই সদস্যের মধ্যে গনেশ মল্ল বুধবার সন্ধ্যায় ফের ফিরে যান নিজের পুরনো দলে। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে ফের বিজেপির পতাকা কাঁধে তুলে নেন তিনি।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে তারাপদ পাল এবং গণেশ মল্লের দাবি ছিল, বিজেপিতে থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে পারছিলেন না। তাই তৃণমূলে যোগদান করেছেন। সেই গনেশ মল্ল সন্ধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিয়ে বলেন, তাঁকে চাকরি ও বকেয়া টাকা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তৃণমূলে।