২৫ দিন কেটে গেলেও এখনও অধরা সন্দেশখালি কাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড শেখ শাহজাহান। আর এই ইস্যুতে ফের একবার মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ৩০ জানুয়ারি জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে বারাকপুর গান্ধীঘাটে গান্ধী মূর্তি পাদদেশে মাল্যদান করে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল বলেন "আইন আইনের পথে চলছে। তাকে ধরতে অভিযান চলছে। নিয়ম মেনেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শীঘ্রই ধরা হবে। একজন দোষীকে নিশ্চয়ই আইনের আওতায় আনা হবে। তাড়াহুড়োর কোন ব্যাপার নেই। একজন অভিযুক্তকে ধরাটা কোন প্রমিস নয়, এটা একটা কমিটমেন্ট। আপনারা ধৈর্যের সঙ্গে অপেক্ষা করুন।"
গত শনিবার নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দির স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকার উপর চড়াও, তাণ্ডব ভাঙচুরের ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল ওঠে। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফকার না করা প্রসঙ্গে নিয়েও এদিন মুখ খোলেন রাজ্যপাল। বোস বলেন "আমরা বিষয়টির দিকে খেয়াল রাখব। তদন্তকারী কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন, একটু সময় দিতে হবে, নিশ্চই পদক্ষেপ নেয়া হবে। যদি তারা কোন পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয় তবে আমি যথাযথ নিয়ম মেনেই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করব।'
গান্ধীজির মৃত্যুবার্ষিকীতে এজিন বারাকপুরের গান্ধীঘাটের অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী, বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া প্রমুখ। এদিন সর্বধর্ম প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। এরপর রাজ্যপাল সাংবাদিদের মুখোমুখি হয়ে শান্তি সম্প্রীতির বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি বলেন ভগবান যেন সকলকে সুবুদ্ধি দেন।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির তৃণমূল নেতাকে নিয়ে আগেও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । সোমবার দুপুরে বালিগঞ্জ আর্মি পাবলিক স্কুলে 'পরীক্ষা পে চার্চা' অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি ৷ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান বলেন, "শাহজাহান গ্রেফতার হবেই, এটা শুধু কথা নয়, দায়বদ্ধতা ৷" কিন্তু সব কিছু তাড়াহুড়ো করে হয় না ৷ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার ৷ সে কথাও উল্লেখ করেন সিভি আনন্দ বোস । তাঁর কথায়, "দুনিয়াতে সব ধীরে ধীরে হয় । ইডি শেখ শাহজাহানকে সমন করেছে । আমার কাছে এসেছিল, তৈরি থাকতে বলেছি । আইন অনুযায়ী গ্রেফতার হবেই । এখানে রাজ্যপালের সন্তুষ্টির কোনও বিষয় নেই, আইনরক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ।" এদিনও রাজ্যপালের মুখে শাহজানকে নিয়ে প্রায় একই কথা শোনা গেল।