সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও ১। জোড়া হত্যাকাণ্ডে চোপড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে জিয়াউল শেখকে। সামশেরগঞ্জ থানা এলাকারই বাসিন্দা ধৃত জিয়াউল শেখ। এই নিয়ে হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলেকে খুনের ঘটনায় ধৃত বেড়ে হল ৪। রাজ্য পুলিশের সিট এই গ্রেফতার করেছে। মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় আরও এক মূল ষড়যন্ত্রকারী জিয়াউল শেখ।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গত রাতে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে জিয়াউল শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১২ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদে জোড়া খুনের পর থেকে সে পলাতক ছিল। পুলিশ সূত্র ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছে, জিয়াউল হিংসাত্মক জনতার নেতৃত্ব দেয় যারা হিন্দু বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাবা-ছেলে উভয়কেই বাড়ি থেকে টেনে বের করে হত্যা করে।
জমায়েত থেকে বাড়িতে হামলা, খুন, ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত জিয়াউল, পুলিশ সূত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় এটি রাজ্যে পুলিশের চতুর্থ গ্রেফতার। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে জনতা হত্যার পর প্রমাণ নষ্ট করার ঘটনায়ও জিয়াউল শেখ জড়িত। ঘটনাস্থলের কাছে থাকা একটি সিসিটিভি ক্যামেরা তার নির্দেশেই অন্য অভিযুক্তরা ন।্ট করে দেয়। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় জিয়াউল ইতিমধ্যেই তার দোষ স্বীকার করেছে। আজ তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জিয়াউল সামশেরগঞ্জের সুলিতলা এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। ঘটনায় আগে গ্রেফতার হওয়া তিন ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জিয়াউলের নাম জানতে পুলিশ পারে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে জিয়াউলকে গ্রেফতার করেছে বিশেষ তদন্তকারী দলের অফিসাররা। তাকে রবিবার জঙ্গিপুরে নিয়ে আসা হচ্ছে। আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ।