ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুর্গাপুরে। এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে দুর্গাপুরও। মেয়েকে বাংলায় রাখতে চান না দুর্গাপুরের নির্যাতিতা ডাক্তারি পড়ুয়ার বাবা। তিনি জানিয়েছেন, মেয়েকে ওডিশাতে নিয়ে যেতে চান । সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। এদিকে রবিবার গণধর্ষণের শিকার ছাত্রীটির সঙ্গে দেখা করতে পারলেন না বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। পুলিশ নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি বলে অভিযোগ বিজেপির প্রাক্তন সাংসদের। ইমার্জেন্সি গেটটি তালাবদ্ধ ছিল, সেই কারণেই তিনি হাসপাতালের জরুরি দরজার বাইরে বসে ছিলেন। লকেট জানান, তাঁকে দেখা করার অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত তিনি যাবেন না। তিনি আরও বলেন, পুলিশ হাসপাতালের ভেতরে রয়েছে এবং তাঁকে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করার জন্য ভেতরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, এখানে তালেবান শাসন চলছে। আরকি করের পরও একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও, দুর্গাপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। লকেটের আরও বক্তব্য, তিনজনকে গ্রেফতার আইওয়াশ। এদিন হাসাতালের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডের ভিতরে উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের বারংবার গেট খুলে দেওয়ার জন্য ডাক দেন লকেট। বিজেপি নেত্রীর চিৎকার শুনে কিছু সময় পর এগিয়ে আসেন এক কর্তব্যরত মহিলা পুলিশ কর্মী। একজনকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে বলেও জানান তিনি। কিন্তু সেই ওয়ার্ডের গেট আর খোলেন না।
লকেট বলেন, ‘পুলিশ ভিতরে, সাধারণ মানুষ বাইরে। উপর থেকে নির্দেশ, কেউ কোনও জায়গায় যেতে পারবেন না। একেবারে তালিবানি শাসন চলছে। ভেবে দেখুন, অপারেশন সিঁদুর হয়েছে, সোফিয়া কুরেশি, ব্যোমিকা সিং-রা রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করে এসেছে। আর বাংলায় কী চলছে? জঙ্গল রয়েছে, জন্তু-জানোয়াররা মেয়েদের খেয়ে নেবে। সেই জন্য মুখ্যমন্ত্রী মেয়েদের বাইরে বেরতে বারণ করছে। উনিই তো বলেন, ওনার বাংলা সবচেয়ে সুরক্ষিত। তা হলে সেই রাজ্যেই মেয়েরা রাতে বেরবে না কেন?’