
শুভেন্দু এদিন সভা থেকে জানান, বাংলাদেশি হিন্দুদের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে। যাঁদের ২০০৪ পর্যন্ত ভারতে জন্ম তাঁরা সুরক্ষিত। যাঁদের বাবা মায়ের ২০০৮ পর্যন্ত ভারতে জন্ম তাঁরাও সুরক্ষিত। ২০০২-এর পরে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা CAA তে আবেদন করে দিন। শুভেন্দুর কথায়, 'CAA-তে আবেদন করলেই হবে। এর সবথেকে বড় গ্যারেন্টার প্রধানমন্ত্রী মোদী। ছোটো গ্য়ারেন্টার শুভেন্দু, সুকান্ত, শমীক। ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে আসা কোনও বাংলাদেশি হিন্দুর নাম কাটতে দেব না। বিজেপিকে বিশ্বাস করুন। পরিবর্তন আসন্ন। পশ্চিমবঙ্গে এবারের SIR-এ এক কোটির উপর নাম বাদ যাবে।'
SIR নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, 'মমতা বলেছিলেন, এসআইআর হতে দেব না। এখন বলছেন, বিএলওদের উপর নজর রাখতে হবে। অর্থাৎ এসআইআর গিলে ফেলেছে। ভাইপোও বলেছিলেন, করতে দেব না। গাছে বাঁধব। এখন বলছেন, প্রকৃত ভোটাররের নাম বাদ গেলে দিল্লি যাব। এর আগেও রাজঘাটে গিয়েছিলেন। মাত্র ৩ হাজার লোককে নিয়ে। এবারে দিল্লি গেলে জুতো হাতে নেওয়ার সুযোগ পাবেন না।'
কাকদ্বীপের এই সভার জন্য প্রশাসন অনুমতি দেয়নি বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু। জানান, ওখানকার এসপি কোটেশ্বর রাও সভা বানচালের সমস্ত চেষ্টা করেছিলেন। তবে বিজেপি নেতৃত্বর কাছে হার মেনেছেন। ওই পুলিশ আধিকারিককে আক্রমণ করে বলেন, 'এসপি কোটেশ্বর রাও একজন ডাকাত ও অপরাধী। আসানসোলে যে কয়লাচুরি হয়েছে, সেই মামলার কোটেশ্বর রাওকে ইডি দিল্লিতে ৫ বার ডেকেছিল। দু'বার গেছিলেন। এই মিছিল করতে দিতে চাননি তিনি। বলেছিলেন, সোমবার কাজের দিন মিছিল করা যাবে না। তারপর হাইকোর্টে গিয়েও আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পারেননি।'