Suvendu Adhikary Tarapeeth: রামনবমীর পর বৈষ্ণব সম্প্রদায় ও সনাতনীদের নিয়ে তারাপীঠ মহাশ্মশান অভিযানের ডাক দিলেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার তারাপীঠ মহাশ্মশানে অবৈধ নির্মাণ ও সনাতনী বৈষ্ণব সমাজের অবমাননা ও তারাপীঠ রামপুরহাট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (TRDA)-এর দুর্নীতি সহ রাজ্য জুড়ে সনাতনী সমাজের উপর নির্যাতন ও অত্যাচারের প্রতিবাদে রামপুরহাটে এসডিও অফিস চত্বরে বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এই ডাক দেন শুভেন্দু|
জানা গিয়েছে, তারাপীঠের প্রধান রাস্তার দুই ধার এবং পাণ্ডাপাড়ার নোংরা জল মজুত রাখার জন্য তারাপীঠ শ্মশানে একটি রিজার্ভার নির্মাণ করা হচ্ছে। পরে সেই জল পরিস্রুত করে দ্বারকা নদীতে ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে। তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের তরফে দাবি করা হয়, পরিবেশ আদালতের নির্দেশে এই কাজ হচ্ছে। এর তীব্র বিরোধিতা করে বিজেপি। তাদের দাবি, এর ফলে শ্মশানের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, তারাপীঠ মহাশ্মশানে বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের সমাধিস্থল রয়েছে। সেই সমাধিস্থলেই নাকি এই নির্মাণ করা হচ্ছে।
বীরভূমের তারাপীঠ মহাশ্মশানে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিজেপি বিক্ষোভ দেখালে রিজার্ভারের জন্য তৈরি গর্তও বুজিয়ে দেওয়া হয়। তখনই বিজেপি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, পুনরায় কাজ শুরু হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে। পরে আবার সেখানে কাজ শুরু হতেই বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। গত ৬ মার্চ বিজেপির বিক্ষোভকে ঘিরে কার্যত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এদিন তাঁর নিয়মমাফিক রাজ্যের নদীগুলিকে ধ্বংস করার জন্য তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তিনি বলেন, "সমস্ত নদীর বালি তুলতে তুলতে নদী ধ্বংস করেছে। তারাপীঠ মহাশ্মশানের সংলগ্ন নদীর পরিচ্ছন্নতা নষ্ট করেছে।" জগন্নাথ ধাম কালচারাল সেন্টারকে জগন্নাথ মন্দির বলে মিথ্যা প্রচার করছে তৃণমূল বলে এদিনও সরব হন তিনি।
এদিন তিনি বৈষ্ণব সমাজকে রক্ষা করতে হবে বলে দাবি তোলেন। তারাপীঠে অবৈধ নির্মাণে বৈষ্ণব সমাজের অস্তিত্বে আঘাত লেগেছে বলেও দাবি করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "৬ এপ্রিল রামনবমী। গোটা রাজ্যের বৈষ্ণব সমাজকে নিয়ে তারাপীঠ মহাশ্মশান কর্মসূচির ডাক দেব। প্রয়োজনে পার্টির পতাকা দূরে সরিয়ে রেখে সনাতনীদের নিয়ে অভিযান চালানো হবে।"