Advertisement

SIR News: BLO-দের জন্য নয়া নির্দেশিকা, ফর্ম আপলোডের আজই ডেডলাইন, তারপর? বিস্তারিত জানাল কমিশন

এনুমারেশন ফর্ম আপলোড করার সময়সীমা ৪ ডিসেম্বর থেকে বাড়িয়ে ১১ ডিসেম্বর করা হয়েছে। অর্থাৎ, বিএলও এবং ইআরও-রা আরও এক সপ্তাহ সময় অতিরিক্ত পাচ্ছেন। এরমাঝেই পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী পরিকাঠামোয় স্বচ্ছতা আনতে এবং ভোটার তালিকা নির্ভুল করতে ফের বড়সড় পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন। ১ ডিসেম্বর তারিখে রাজ্যের চিফ ইলেক্টোরাল অফিসারের দফতর থেকে SIR 2026 (Summary Revision of Electoral Rolls) বা ভোটার তালিকা সংশোধন সংক্রান্ত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

 BLO-দের জন্য নতুন নির্দেশিকা BLO-দের জন্য নতুন নির্দেশিকা
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 02 Dec 2025,
  • अपडेटेड 9:52 AM IST

এনুমারেশন ফর্ম আপলোড করার সময়সীমা ৪ ডিসেম্বর থেকে বাড়িয়ে ১১ ডিসেম্বর করা হয়েছে। অর্থাৎ, বিএলও এবং ইআরও-রা আরও এক সপ্তাহ সময় অতিরিক্ত পাচ্ছেন। এরমাঝেই পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী পরিকাঠামোয় স্বচ্ছতা আনতে এবং ভোটার তালিকা নির্ভুল করতে ফের বড়সড় পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন। ১ ডিসেম্বর তারিখে রাজ্যের চিফ ইলেক্টোরাল অফিসারের দফতর থেকে SIR 2026 (Summary Revision of Electoral Rolls) বা ভোটার তালিকা সংশোধন সংক্রান্ত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকায় একদিকে যেমন এনুমারেশন বা তথ্য সংগ্রহের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে, অন্যদিকে তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-দের (BLO) ওপর নজিরবিহীন কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

 ইলেকশন কমিশন  BLO-দের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, মঙ্গলবারের মধ্যেই শেষ করতে হবে সংগ্রহ করা ফর্ম আপলোড। জমা নেওয়া সমস্ত ফর্ম মঙ্গলবারের মধ্যে আপলোড করতে হবে। ৩ তারিখ থেকে প্রত্যেকদিনের সংগৃহীত ফর্ম প্রত্যেকদিন আপলোড করতে হবে। কোনও ব্যাকলগ গ্রহণযোগ্য হবে না। ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফর্ম না দিলে গ্রহণযোগ্য হবে না। গোটা প্রক্রিয়াতে যদি কোথায় কোনও ইচ্ছাকৃতভাবে ত্রুটি চিহ্নিত হয় তাহলে দায়ী থাকবে BLO-রা।  কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে ২ তারিখের পর থেকে যে সব ফর্ম আসবে, সেগুলি সেদিনই আপলোড করে ফেলতে হবে। জমা পড়ে থাকা কোনও এনুমারেশন ফর্ম ২ ডিসেম্বরের পরে আর গ্রহণ করা হবে না। 

পাশাপাশি  জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০০২ সালে যে সমস্ত ভোটারের বয়স ৬০ বছরের বেশি সেগুলিকে আবার খতিয়ে দেখতে হবে। ২০০২ সালে যাঁদের বয়স ষাট পেরিয়ে গিয়েছিল, ২০২৫ সালে তাঁদের বয়স ৮০ পেরিয়ে গিয়েছে। তাদের সম্পর্কে তথ্য আবার খতিয়ে দেখতে হবে। ২০২১ ও ২০২৪ যে বুথ গুলি স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল সেই বুথের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে। 

নতুন এন্ট্রিতে অনেক ভোটারের নাম কিংবা বাবার নাম বদলে গিয়েছে। ২০০২ সালের তালিকায় যে নাম ছিল, আর এখন যে নাম রয়েছে, দুইয়ে মিল নেই। এই সব ভোটারের তথ্য ফের যাচাই করে দেখতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ, যে সব ভোটারের নাম, পরিচয় বদলে গিয়েছে, তাঁদের তথ্য পুনরায় যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছে  নির্বাচন কমিশন। সমস্ত বুথ স্তরের আধিকারিক (বিএলও), ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও) এবং জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (ডিইও)-কে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, সোমবারই বিএলও এবং ইআরও-দের এনুমারেশন ফর্মের ভুল এন্ট্রি সংশোধনের সুযোগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটারদের তথ্য এন্ট্রি করার ক্ষেত্রে কোনও ভুল হয়ে থাকলে এ বার তা সংশোধন করা যাবে। জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর জন্য যে অতিরিক্ত সময় পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে এই ভ্রম সংশোধনের কাজ সেরে ফেলতে হবে। আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত এনুমারেশন ফর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা।

নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, কাজের কোনোও ‘ব্যাকলগ’ বা বকেয়া রাখা যাবে না। বিএলও-দের কাজের সুবিধার্থে এবং পোর্টালের ওপর চাপ সামলাতে নিচের সময়সূচী এবং নিয়মগুলি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে-

ব্যাকলগ ক্লিয়ারেন্স: ২ ডিসেম্বর, ২০২৫-এর মধ্যে সমস্ত সংগৃহীত ফর্ম এবং যেগুলি বিতরণ করা সম্ভব হয়নি, সেই সংক্রান্ত তথ্য পোর্টালে আপলোড করা বাধ্যতামূলক।
দৈনিক কাজের হিসাব: ২  ডিসেম্বরের পর থেকে আর কাজ জমিয়ে রাখা যাবে না। যেদিন যে তথ্য বা ফর্ম সংগ্রহ করা হবে, সেদিনই তা পোর্টালে আপলোড করতে হবে।
আনকালেক্টেবল ফর্ম: যদি কোনো পরিবার ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফর্ম পূরণ করে জমা না দেয়, তবে সেই ফর্মগুলিকে অ্যাপের মাধ্যমে ‘Uncollectable’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।

যে বিষয়গুলিতে বিশেষ নজর:
১. প্রজিনি ম্যাপিং ও বয়সের ফারাক: বর্তমানে যাদের বয়স ৫০ বছর বা তার বেশি এবং যারা নিজেরা ম্যাপ না হয়ে বাবা-মা বা বয়োজ্যেষ্ঠ আত্মীয়ের সঙ্গে ম্যাপ হয়েছেন, তাঁদের তথ্য স্ক্যানারের তলায় থাকছে। প্রশ্ন উঠছে, ২০০২ সালে যখন তাঁদের বয়স ২৫-এর বেশি ছিল, তখন কেন তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় ছিল না? এটি খতিয়ে দেখতে হবে।
২. বয়স্ক ভোটার (৬০+): ২০০২ সালের ভোটার তালিকার নিরিখে যাঁদের বয়স ৬০-এর বেশি এবং যাঁরা ‘সেলফ ম্যাপিং’ করেছেন, তাঁদের তথ্যও পুনরায় যাচাই করতে হবে।
৩. বাবা-মায়ের বয়সের ব্যবধান: আবেদনকারীর সঙ্গে বাবা-মায়ের বয়সের ব্যবধান যদি ৪৫ বছরের বেশি অথবা ১৮ বছরের কম হয়, তবে তা সন্দেহের তালিকায় পড়বে এবং বিস্তারিত তদন্ত করতে হবে।
৪. অনুপস্থিত সদস্য: পরিবারের কোনো সদস্য অনুপস্থিত থাকলে তাঁর হয়ে অন্য কেউ সই করলে নিশ্চিত করতে হবে যে ওই ব্যক্তি দেশের অন্য কোথাও ভোটার নন। প্রয়োজনে বিএলও-কে সেই বাড়িতে গিয়ে বা ফোন করে নিশ্চিত হতে হবে।

Read more!
Advertisement
Advertisement