খড়গপুর আইআইটি-র হস্টেল থেকে এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার। যার কারণে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। রবিবার হস্টেল থেকে উদ্ধার হয় তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রের দেহ। আত্মহত্যা না খুন? জানতে তদন্ত করছে পুলিশ। মৃত ছাত্রের নাম শাওন মালিক (২১)। তিনি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া। তিনি কলকাতার কসবা এলাকার বাসিন্দা। হস্টেলেই থাকতেন তিনি। রবিবার সকালে তাঁর সঙ্গে হস্টেলে দেখা করতে এসেছিলেন বাবা ও মা। শাওনের ঘরের দরজা বন্ধ ছিল, অনেক ডাকাডাকি করে তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর ঘরে ঢুকে শাওনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে আইআইটি খড়গপুরের নিরাপত্তারক্ষীরা। খবর দেওয়া হয় খড়গপুর টাউন থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আইআইটির হস্টেল ও ক্যাম্পাসে কুকুর নিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে তারা। শাওনের সহপাঠী ওবাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে যান পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারও। শাওন আত্মহত্যা করেছে নাকি মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা জানতে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কয়েকদিন আগেই খড়গপুর আইআইটি-র রসায়ন বিভাগের জুনিয়ার টেকনিশিয়ান সাকির আলি মোল্লার দেহ উদ্ধার হয়। কোয়ার্টারের ঘর থেকে সাকিরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়াও, গত বছর জুনে দেবিকা পিল্লাই নামে কেরলের এক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ২১ বছরের দেবিকা বি-টেক কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর বাড়ি কেরলের চেপাড থানার উত্তর এভুর এলাকায়।