ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফের অনুপ্রবেশ রুখল বিএসএফ। বিএসএফের উপর দু'বার হামলা চালিয়েছে বাংলাদেশিরা। ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী মালিকপুর গ্রামে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশিরা। চোরাচালান ও ডাকাতিই ছিল তাদের উদ্দেশ্যে।
অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের কাছে ছিল ধারালো অস্ত্র। মাত্র ৬ ঘন্টার মধ্যে তারা বিএসএফ-এর উপর দু'বার হামলা চালায়। প্রথম হামলাটি চালানো হয় রাত ১২টার দিকে। এরপর ভোরে আবারও বাংলাদেশিরা আসে। দু'বারই বিএসএফ তাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।
জানা গিয়েছে, ৪-৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে কিছু বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক সীমান্ত লঙ্ঘন করে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করে। অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানের উদ্দেশ্যে এই বাংলাদেশিরা দক্ষিণ দিনাজপুরের মালিকপুর গ্রামে প্রবেশ করেছিল। প্রথমে বিএসএফ জওয়ানরা তাদের তাড়িয়ে দেয়। পরে অনুপ্রবেশকারীরা বিএসএফ জওয়ানদের ঘিরে ফেলে। তাদের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে আবারও বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিরা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। আবারও দক্ষিণ দিনাজপুরের মালিকপুর গ্রামে যায় তারা। এবার তারা অস্ত্র নিয়ে এসেছিল। কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে। বিএসএফ তাদের সাবধান করে ফিরে যেতে বলে। তা কানে যায়নি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের। বিএসএফ জওয়ানদের উপর হামলা করে। তাদের কাছে ছিল ধারালো অস্ত্র ও তীর।
অনুপ্রবেশকারীদের মোকাবিলা করার জন্য বিএসএফ প্রথমে শূন্যে গুলি ছোড়ে। কিন্তু বাংলাদেশিরা পালিয়ে যায়নি। উল্টে তারা বিএসএফের উপর হামলা শুরু করে। বিএসএফ জওয়ানদের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। এই সময় এক বিএসএফ জওয়ান আহত হন। এরপর বিএসএফ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। গুলি চালানো শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশিরা প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার সময় সীমান্তে ঘন কুয়াশা ছিল। সকালে বিএসএফ যখন তল্লাশি অভিযান শুরু করে, তখন একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে বিএসএফ গঙ্গারামপুর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে বিএসএফ। বাংলাদেশিদের হামলায় আহত জওয়ান চিকিৎসাধীন।