নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়ায় ভারত-বাংলাদেশে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় আরও একটি বাঙ্কারের খোঁজ মিলল। জেসিবি লাগিয়ে লোহার বাঙ্কার তোলার কাজ চলছে বিএসএফের উদ্যোগে। বিশাল বড় লোহার বাঙ্কার তোলার জন্য পুরো এলাকা বিএসএফ ঘিরে রেখেছে। শুক্রবার খোঁজ মিলেছিল ৩টি বাঙ্কারের। শনিবার আরও একটির খোঁজ মিলেছে। আরও বাঙ্কার আছে কি না জানতে তল্লাশি চালাচ্ছে বিএসএফ।
শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়েই বিএসএফ আধিকারিকরা সুধিররঞ্জন লাহিড়ি মহাবিদ্যালয়ের কাছে একটি বাগানে তিনটি বিশালাকার লোহার বাঙ্কারের খোঁজ পায়। যদিও এই বাঙ্কার থেকে কয়েক কোটি টাকার নিষিদ্ধ কফ সিরাপ উদ্ধার করে। কী উদ্দেশ্যে এই বাঙ্কারগুলি তৈরি করা হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। শুধুই চোরাচালানের জন্যই এই বাঙ্কারগুলি ব্যবহার করা হত নাকি অনুপ্রবেশ, নাশকতার জন্য? তা এখনও জানা যায়নি। একের পর এক বাঙ্কার মেলায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিএসএফ মনে করছে, বাংলাদেশে পাচার করার উদ্দেশ্যেই এই কপ সিরাপের বোতলগুলি আনা হয়েছিল৷ কিন্তু সীমান্তে নজরদারি বাড়ায় সেগুলি আর পাচার করা সম্ভব হয়নি। সেই কারণেই পেটিতে ভরে সিরাপের বোতলগুলি বাঙ্কারে লুকিয়ে রাখা হয়।
শনিবার যে বাঙ্কারটির খোঁজ মিলেছে তার উপরে অর্থাৎ মাটির উপরের অংশে কংক্রিটের একটা গেটও করা হয়েছে। প্রতিটি বাঙ্কার কমপক্ষে ১৫ ফুট গভীর, লোহার শীট দিয়ে তৈরি। মনে করা হচ্ছে সময় নিয়েই এগুলির ওখানে নিয়ে আসা হয়। যদিও প্রশ্ন উঠছে, এত বড় বড় বাঙ্কার সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসা হল অথচ কীভাবে তা প্রশাসন বা বিএসএফ-র নজর এড়িয়ে গেল?
এই বিষয়ে বিএসএফ-র দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের মুখপাত্র এবং ডিআইজি নীলোৎপল কুমার পান্ডে বলেছেন, নদিয়ার সীমান্ত এলাকায় কিছু বাঙ্কার পাওয়া গিয়েছে, যেগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হায়ার অথরিটি ও রাজ্য পুলিশকে জানানো হবে।'