Advertisement

Cyclone Montha Bengal Effect: ঘূর্ণিঝড় 'মন্থা'র খেলা শুরু, বাংলায় কোন জেলায় কেমন দুর্যোগ? স্পেশাল বুলেটিন

ঘূর্ণিঝড় মন্থা যত ল্যান্ডফলের দিকে এগোচ্ছে ততই বাংলার আবহাওয়ারও বদল ঘটছে। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ। সময় যত এগোবে রাজ্যের আবহাওয়ার অবনতির আশঙ্কা বাড়ছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্থার প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টি শুরু মন্থার প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টি শুরু
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 28 Oct 2025,
  • अपडेटेड 4:31 PM IST

শক্তি বাড়িয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে এসেছে ঘূর্ণিঝড় মন্থা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম এবং কলিঙ্গপত্তনমের মাঝে কাকিনাড়ার কাছাকাছি কোথাও আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। মন্থার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাতেও। ইতিমধ্যেই তুমুল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে দিঘায়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিলই, ঘুর্ণিঝড় মন্থার প্রভাবে উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভনা রয়েছে। সেইমতোই সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে উপকূল সংলগ্ন বাংলার আকাশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে সৈকত শহরে।

মঙ্গলবার রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়তে পারে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়টির সরাসরি প্রত্যক্ষ প্রভাব বাংলায় না পড়লেও পরোক্ষভাবে জেলায় জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার বিকেল থেকেই কলকাতায় মেঘলা আকাশ হতে শুরু করেছে। 

ঘূর্ণিঝড় মন্থা যত ল্যান্ডফলের দিকে এগোচ্ছে ততই বাংলার আবহাওয়ারও বদল ঘটছে।  মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ। সময় যত এগোবে রাজ্যের আবহাওয়ার অবনতির আশঙ্কা বাড়ছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাবে এরাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় রীতিমতো সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলে সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্র যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

কলকাতার আবহাওয়া
কলকাতায় মঙ্গলবার সকালে রোদ ঝলমলে আকাশ ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে হাওয়া বদল  দেখা দিয়েছে। আকাশ ধীরে ধীরে মেঘলা হয়েছে। বিকেলের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে শহরে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি কলকাতায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা বাতাস বইতে পারে।

Advertisement

দক্ষিণবঙ্গে সতর্কতা
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুর্যোগ হতে পারে  দক্ষিণবঙ্গেও।  দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। উপকূলের জেলা দিয়ে শুরু হয়ে উত্তরবঙ্গ লাগোয়া জেলা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার থেকে দেখা যাবে হাওয়ার বদল।  উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পূর্ব পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ২৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে চলবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইবে। বুধবার দক্ষিণবঙ্গের ছয়টি জেলা, যথাক্রমে হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি শুরু হবে বর্ধমান, পুরুলিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। যা চলবে টানা শনিবার পর্যন্ত। এই সময়কালে শুক্রবার পর্যন্ত রয়েছে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা। শনিবার থেকে কমবে বৃষ্টিপাত। রবিবার আবার পরিষ্কার আকাশ।  মুষলধারে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। 

উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টি
উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। ৩১ অক্টোবর উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলাতে অতি ভারী বৃষ্টি অর্থাৎ ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা। ওইদিন ভারী বৃষ্টি হবে মালদা এবং উত্তর দিনাজপুরেও। তার আগে ৩০ অক্টোবর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি জেলাতে।  ২৯ থেকে ৩১ অক্টোবর উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইবে। 

Read more!
Advertisement
Advertisement