Advertisement

Fire Cracker Factory Explosion: জনবহুল এলাকায় কীভাবে অনুমতি? কল্যাণীর বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত ৪

জনবহুল এলাকায় কীভাবে চলছিল এই বেআইনি বাজি কারখানা, সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিশেষ করে রাজ্যে সাম্প্রতিককালে একাধিক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। মৃত্যুও হয়েছে। তারপরও কেন প্রশাসনের হুঁশ ফিরল না, সেই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। 

কল্যাণীর বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। কল্যাণীর বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 07 Feb 2025,
  • अपडेटेड 4:47 PM IST
  • কল্যাণীর রথতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ।
  • কীভাবে জনবহুল এলাকায় বাজি কারখানা, উঠছে প্রশ্ন।

আবারও রাজ্যে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। এবার ঘটনাস্থল নদিয়ার কল্যাণী। প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার আগে পর্যন্ত অন্তত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তাঁদের ঝলসানো দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন দু'জন মহিলা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে ফরেনসিক দল। 

জানা গিয়েছে, নদিয়ার কল্যাণীর রথতলায় এই বাজি কারখানাটি চলত। বিস্ফোরণের তীব্রতায় গোটা বাজি কারখানাটিই উড়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় কল্যাণী থানার পুলিশ এবং দমকল বাহিনী। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকলকর্মীরা। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আতসবাজি তৈরির সময় শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। তার জেরেই বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের জেরে ভেঙে পড়ে কারখানার দেওয়াল। এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

আতঙ্কিত এলাকাবাসী। জনবহুল এলাকায় কীভাবে চলছিল এই বেআইনি বাজি কারখানা, সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিশেষ করে রাজ্যে সাম্প্রতিককালে একাধিক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। মৃত্যুও হয়েছে। তারপরও কেন প্রশাসনের হুঁশ ফিরল না, সেই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। 

বাংলায় একের পর এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ

গত কয়েক বছরে এ রাজ্যের একাধিক জায়গায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ২০২৩ সালে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিলেন ১১ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ এবং উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরেও বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছিল। ৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এবার কল্যাণীতেও ঘটল বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। 

যে আশ্বাস দিয়েছিলেন মমতা

এগরার বাজি কারখানার বিস্ফোরণস্থলে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,'এই ঘটনায় আমাদের চোখ খুলে গিয়েছে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটা কমিটি হয়েছে। আগামী ২ মাসের মধ্যে রিপোর্ট আসবে। আমরা বাজির ক্লাস্টার তৈরি করব'। সেই দিনটা ছিল ২০২৩ সালের ২৭ মে। বিরোধীদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলার ২ বছর পেরিয়ে গেলেও রাজ্যে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি বাজি কারখানা, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কল্যাণীর বিস্ফোরণ।
 

Read more!
Advertisement
Advertisement