Advertisement

কলার ভেলায় হাসপাতালে যাচ্ছেন রোগী, চলছে স্যালাইনও, বাদুড়িয়ার মর্মান্তিক ঘটনা

লাগাতার বৃষ্টিতে জলমগ্ন উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার একাধিক গ্রাম। জল এতটাই জমেছে যে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কলার ভেলায়। সেই ছবি সামনে এসেছে। তা দেখার পর সমালোচনার ঝড়।

বাদুড়িয়ায় কলার ভেলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রোগী বাদুড়িয়ায় কলার ভেলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রোগী
Aajtak Bangla
  • বারাসত ,
  • 31 Jul 2025,
  • अपडेटेड 2:50 PM IST
  • লাগাতার বৃষ্টিতে জলমগ্ন উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার একাধিক গ্রাম
  • জল এতটাই জমেছে যে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কলার ভেলায়

লাগাতার বৃষ্টিতে জলমগ্ন উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার একাধিক গ্রাম। জল এতটাই জমেছে যে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কলার ভেলায়। সেই ছবি সামনে এসেছে। তা দেখার পর সমালোচনার ঝড়। দেখেশুনে অনেকের প্রশ্ন, 'এটাই কি এগিয়ে বাংলার নমুনা?' 'এটাই কি উন্নয়ন?'

বাদুড়িয়ার  চাতরা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মির্জাপুর, পাপিলা, কোটালবেড়িয়া, রসুই, পোতাপাড়া গ্রামের অবস্থা সব থেকে খারাপ। জলমগ্ন সেই সব গ্রাম। কোথায় জল জমেছে এক হাঁটু, কোথাও এক বুক। জলের নিচে চাষের জনমি। অনেক বাড়িতেও জল ঢুকে পড়েছে। এখনও অবিরাম বৃষ্টি পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে জল আরও বাড়ছে। তা না নামা পর্যন্ত বিপর্যস্ত জনজীবন। তবে বৃষ্টি না কমলে সেই জল নামবে না বলেই মনে করছেন গ্রামবাসীরা। 

তারই মধ্যে সামনে এল ভয়াবহ ছবি। দেখা গেল কলায় ভেলাকে নৌকা বানিয়ে তার মধ্যে রোগীকে শুইয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। সেলাইনের বোতল ধরে রয়েছেন একজন। ভেলা ঠেলে ঠেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে শুধু রোগী নয়, এই জল পেরিয়েই স্কুলে যেতে হচ্ছে এলাকার কচিকাঁচাদের। সেই ছবিও দেখা গিয়েছে।  

এভাবেই যেতে হচ্ছে স্কুলে

গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন,একের পর এক এলাকা জলমগ্ন। তার জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা  বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না। চাষের জমি জলের তলায়। সাপ-পোকামাকড়ের উৎপাত বেড়েছে। কিন্তু প্রশাসনের সদর্থক ভূমিকা নেই। 

গ্রামবাসীদের দাবি, দির্ঘদিন ধরে এই এলাকার হাল বর্ষায় এই রকম হয়। অথচ সরকারের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বছরের পর বছর এই অবস্থার মধ্যে তাদের কাটাতে হচ্ছে। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের আবেদনও করেছে তারা। 

এদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েতের দাবি, এই এলাকার আশপাশ দিয়ে বয়ে চলা  ইছামতি, যমুনা ও পদ্মার নাব্যতা কমেছে। ফলে জলধারণ ক্ষমতা নেই বললেই চলে। এতেই দুই দিক প্লাবিত হচ্ছে। 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement