নাবালক বিবাহের ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে নাগরিক সচেতনতা ৷ এবারের ঘটনা মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানার অন্তর্গত বোয়ালিয়া এলাকার। কাকুর সঙ্গে হাঁটুর বয়সী ভাগ্নির বিয়ে দিয়েছিল বাবা-মা। আর তারপর যা হল, তা নিয়ে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো চর্চার বিষয়। খবর পেয়ে পুলিশ পাকড়াও করে মেয়েটির বাবাকে। এই বয়সে মেয়ের বিয়ে দিয়ে ভুল করেছেন তাঁরা। স্বীকীর করেছেন মেয়েটির মা। এই ভুল যাতে আর কেউ না করেন তাঁর জন্য আবেদনও জানিয়েছেন মেয়েটির মা।
মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানার অন্তর্গত বোয়ালিয়া এলাকার এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় এখন চর্চা চলছে। অভিযোগ, প্রায় চার মাস আগে কাকুর বয়সী এক ব্যক্তির সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন বাবা-মা। বেশি লোক জানাজানি হতে দেননি। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। পুলিশের কানে যেতেই ওই মেয়েটি ও তার বাবা-কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে একটি মামলা দায়ের করে লালবাগ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় । এদিকে মেয়েটির মা শেষ পর্যন্ত তাঁদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। বয়সের ফারাকে মেয়ের বিয়ে দেওয়া উচিৎ নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
একইসঙ্গে ওই মহিলার আবেদন আর কেউ যেন এই ভুল না করেন। তিনি বলেন, রানিতলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এর তাৎপরতাই আমার মেয়েকে বাঁচানো গিয়েছে। তাঁর বক্তব্য, আমরা ভুল স্বীকার করছি। তিনি আরও বলেন, সামনের দিন আমাদের মতো কেউ ভুল করবেন না। কারণ আমাদের মতো এমনই ভুল যদি করেন শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে পাকড়া হতে হবে। মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সুপার ও রানিতলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক-সহ তার দলকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন মেয়েটির মা। তবে প্রশ্ন উঠছে, যেখানে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলা ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থা অসম বয়সী বিয়ে রুখতে তৎপর, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কেন এই ভুল হচ্ছে?