Advertisement

Bandel Hawker Eviction: মধ্যরাতে রেলের উচ্ছেদ অভিযান, রুজি-রুটি হারিয়ে পথে ব্যবসায়ীরা

আগেই উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছিল রেল। কিন্তু সেই নোটিশের বিরোধিতা করে ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিধায়ক। হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন জোর করে উচ্ছেদ করলে প্রতিবাদ হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল বিনা বাধায় রাতের অন্ধকারে স্টেশন চত্বরে সব দোকান ভেঙে দিল রেল।

ব্যান্ডেল টেশনব্যান্ডেল টেশন
স্বপন কুমার মুখার্জি
  • ব্যান্ডেল,
  • 13 Jul 2025,
  • अपडेटेड 5:12 PM IST

আগেই উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছিল রেল। কিন্তু সেই নোটিশের বিরোধিতা করে ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিধায়ক। হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন জোর করে উচ্ছেদ করলে প্রতিবাদ হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল বিনা বাধায় রাতের অন্ধকারে স্টেশন চত্বরে সব দোকান ভেঙে দিল রেল।

বিপুল পরিমাণ আরপিএফের উপস্থিতিতে জেসিবি চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় স্টেশন চত্বরে রেলের জমিতে থাকা বেআইনি দোকানগুলিকে। দশকের পর দশক ধরে ব্যান্ডেল স্টেশন এলাকায় রেলের জায়গায় দোকান চালিয়ে রুটি রুজি চালাত পরিবার গুলো। অমৃত ভারত প্রকল্পে ব্যান্ডেল স্টেশনকে আধুনিক করা হবে। পরিকাঠামোর আমূল বদল হবে। আর সেই কারণেই চলে এই উচ্ছেদ অভিযান।

দখলকারীদের উচ্ছেদ শুরু করে রেল। উচ্ছেদ হওয়া দোকানদাররা জানান,তাঁরা ঘর ভাড়া দিতেন রেলকে। ইলেকট্রিক বিলও জমা দিতেন। করোনার পর থেকে সব বন্ধ ছিল। রাত বারোটার পর জেসিবি দিয়ে ভাঙা শুরু হয় দোকানগুলি। দীর্ঘদিন ধরে এই দোকান চালিয়েই সংসার চলে। যাঁরা দোকানে কাজ করতেন তাঁদেরও পরিবার চলত। এখন কী হবে তাঁরা জানেন না। রাতারাতি চরম অনিশ্চতায় ডুবে গিয়েছেন তাঁরা। 

পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করা যাবে না এই দাবিতে আন্দোলন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিধায়ক অসিত মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, 'রাতের অন্ধকারে চোরের মতো কাজ করেছে রেল। মানুষ বুঝুক কতটা অমানবিক দেশের কেন্দ্রীয় সরকার।' তবে এ ব্যাপারে আন্দোলনে নামার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, দলের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানান বিধায়ক।

স্থানীয় বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ আবার বলেন, 'বিধায়ক ভালভাবেই জানতেন তাঁরা যেটা করছেন সেটা বেআইনি। তাই রাতে যখন উচ্ছেদ হচ্ছে তখন তৃণমূল নেতাদের দেখা পাওয়া যায়নি। দু'দিন ধরে ঝাঁটা হাতে নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন। শুধুই ভোটের রাজনীতির জন্য।' অর্থাৎ ফের রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। 

রিপোর্টারঃ রাহি হালদার

Read more!
Advertisement
Advertisement