Advertisement

Pashkura Super Specialty Hospital: এবার পাঁশকুড়া হাসপাতালে ওয়ার্ড গার্লকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ম্যানেজার

একবছর আগে আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। এবার সেই আরজি করের ছায়া পাঁশকুড়ায়। সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

ফের সরকারি হাসপাতালে ধর্ষণের অভিযোগফের সরকারি হাসপাতালে ধর্ষণের অভিযোগ
Aajtak Bangla
  •  পাঁশকুড়া,
  • 15 Sep 2025,
  • अपडेटेड 6:14 PM IST


একবছর আগে আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। এবার সেই আরজি করের ছায়া পাঁশকুড়ায়। সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

 পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রবিবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। ওষুধ দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে ফাঁকা রুমে এক অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদার সংস্থার ফেসিলিটি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা। পাঁশকুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

 কোলাঘাট থেকে ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে  গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম জাহির আব্বাস খান। রিল্যায়েবল সার্ভিস লিমিটেডের ফেসিলিটি ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন ধৃত জাহির আব্বাস। অভিযোগপত্রে তমলুক থানা এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী লিখেছেন, তিনি যে সংস্থার অধীনে কাজ করেন, সেই সংস্থারই ফেসিলিটি ম্যানেজার রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাঁকে ধর্ষণ করে। কাউকে না বলার জন্য হুমকিও দেয়। এর আগেও অভিযুক্ত এমন কাজ করেছে বলে অভিযোগপত্রে লিখেছেন নির্যাতিতা। সোমবার পাঁশকুড়া থানায় ওই তরুণী লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

নির্যাতিতার বক্তব্য, 'কাজে আসার পর থেকে আমায় বলত, আমি যদি কোনও সম্পর্কে না আসি তাহলে আমার বাড়ির লোককে মেরে ফেলবে। কাজ থেকে তাড়িয়ে দেবে। নিচের রুমে ডেকে খারাপ কাজ করে। আমায় জোর করছিল। আমায় শারীরিক ভাবে জোর করে।' ওই অস্থায়ী কর্মী আরও বলেন,'যে এই নির্যাতন চালাত তার আড্ডা খানা ছিল হাসপাতাল। সকালে আসত রাত ১১টায় চলে যেত। কোনও স্টাফ এতক্ষণ থাকে? দীর্ঘদিন ধরে এই সব করেছে। আমরা তো সাত-আট হাজার টাকার কাজ করি। সেই কাজ চলে যায় কীভাবে পেট চলবে তাই চুপ থাকতাম। কিন্তু ওই লোকটা দিনের পর দিন অত্যাচার করত।' 

 পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় জানান, বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। পুলিশকে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শাসক দলের মদতেই দিনের পর দিন অভিযুক্তের দৌরাত্ম্য চলত বলে দাবি বিজেপি শিবিরের। 'কেউ দলের নাম নিতেই পারে, দোষী হলে শাস্তি পাবে', অভিযুক্ত নিয়ে বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি তৃণমূলের। 

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement