পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে মহিলাদের বোঝান, অন্নপূর্ণা যোজনায় ৩ হাজার টাকা পেতে হলে BJP-র মেম্বারশিপ ফর্ম ফিলাপ করুন। রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের এই বার্তা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ১ কোটি সদস্য বানানোর টার্গেট দিয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ। ২০২৬-এর বিধানসভাকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমে পড়েছেন গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থক-নেতারা। পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে কাজ। জেলায় জেলায় সভা করে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করছেন নেতারা। পূর্ব বর্ধমানের কালনায় এমনই একটি দলীয় সভায় কর্মীদের শেখানো হল, লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে মানুষকে বোঝাতে হবে। পাশাপাশি মহিলাদেরও বোঝাতে হবে, মোদী সরকার দারুণ একটি প্রকল্প আনছে। নাম অন্নপূর্ণা যোজনা। এই প্রকল্পের সুবিধা হিসাবে মহিলারা ৩ হাজার টাকা করে পাবেন। শর্ত একটাই, মেম্বারশিপ ফর্মটি পূরণ করতে হবে। তাহলেই পাওয়া যাবে অন্নপূর্ণা যোজনায় ৩ হাজার টাকা।
কালনায় বিজেপির সদস্যতা অভিযান কর্মসূচিতে হাজির হয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই সুকান্ত দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'অন্নপূর্ণা যোজনা পেতে হলে ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যপদ নিতে হবে । বাড়িতে গিয়ে বাড়ির লোকেদের বলতে হবে ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যপদ নিতে হবে । আপনাদের কাছে আহ্বান, এই সদস্যপদ তাড়াতাড়ি নিন । এখানে নেতা নয়, কর্মীরাই সব ।'
এই সদস্যতা অভিযান কর্মসূচি থেকে মুখ্যমন্ত্রী তথা শাসকদল TMC-কে তীব্র আক্রমণ করেন সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগকেও তীব্র আক্রমণ করেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। বলেন, 'ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি না থাকলে, BJP না থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রিফিউজি হয়ে থাকতে হত। অটলবিহারী না থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেউ পাত্তা দিচ্ছিল না। তাই BJP যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে বানাতে পারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শেষ করার ক্ষমতা একমাত্র বিজেপিরই আছে।'
অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই বার্তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল নেতৃত্বও । কালনার তৃণমূল বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, 'ওরা বলছে ক্ষমতায় এলে অন্নপূর্ণা যোজনা চালু করবে । তার আগে কোন কোন রাজ্যে অন্নপূর্ণা যোজনা চালু আছে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক । সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে লাভ নেই । মানুষ এমনিতেই বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে ।'
সংবাদদাতা: সুজাতা মেহরা