ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT) খড়গপুরের হস্টেলে নিরামিষ ও আমিষভোজী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। জানা গেছে, আইআইটি খড়গপুরের বিআর আম্বেদকর হল অফ রেসিডেন্সকে ইমেল পাঠিয়ে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, কিছু ছাত্রছাত্রীর অভিযোগ বিবেচনা করে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ ছিল, আমিষভোজী ছাত্রছাত্রীরা ডাইনিং হলের টেবিল দখল করে বসে থাকত। বিআর আম্বেদকর হল অফ রেসিডেন্সে প্রায় ১,৩০০ জন ছাত্রছাত্রী থাকেন। আইআইটি খড়গপুরে এই ধরণের ব্যবস্থা নজিরবিহীন।
তবে বিতর্কের জেরে সেই ব্যবস্থা বাতিল করল আইআইটি কর্তৃপক্ষ। বিভাজন মুছে দিতে চলেছেন আইআইটি খড়গপুর। জানা গিয়েছে, কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, খাবার প্রস্তুত থেকে শুরু করে পরিবেশনের ক্ষেত্রে ভেজ, নন-ভেজ, জৈন ইত্যাদি বিভাজন রাখা যেতে পারে। কিন্তু বসার জায়গার ক্ষেত্রে কোনও ধরনের বিভাজন থাকবে না।
প্রতিষ্ঠানের তরফে সব হোস্টেল ওয়ার্ডেনকে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, 'খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের ক্ষেত্রে ভেজ, নন-ভেজ, জৈন ইত্যাদি ভাগ আলাদা রাখা যেতে পারে। তবে ডাইনিং হলে বসার ক্ষেত্রে কোনও ধরনের বিভাজন থাকবে না।'
প্রসঙ্গত, গত ১৬ অগাস্ট বিষয়টি প্রথম সামনে আসে। আইআইটি খড়গপুরের আম্বেদকর হলের আবাসিকদের একাংশের অভিযোগ ছিল, নিরামিষভোজীদের জন্য বরাদ্দ কয়েকটি আসনে ডিম, মাছ এবং মাংস খাচ্ছেন অনেকে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি নতুন প্রশ্ন ওঠে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বসার জায়গার ক্ষেত্রে এই ধরনের বিভাজন কেন থাকবে? বিষয়টি নিয়ে প্রাক্তনীদের সমালোচনার মুখে নতুন করে নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। এর পর পুরনো এই নিয়ম প্রত্যাহার করা হয়। খাবার প্রস্তুত এবং পরিবেশনের সময়ে ভেজ, নন-ভেজ, জৈন থেকে শুরু করে অন্যান্য খাবারের বিভাজন করা যেতে পারে। কিন্তু বসে খাওয়ার সময়ে কোনও হলেও আলাদা করে ভেজ বা নন ভেজের ভিত্তিতে আসন সংরক্ষণ করা বা আলাদা করা যাবে না।