Advertisement

Illegal Bangladeshi in Bengal: চোরাপথে ঢুকেছিল ভারতে, বালুরঘাট স্টেশনে ধৃত অবৈধ বাংলাদেশি

তবে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে হাঁসখালি থানায়। আর সেই মোতাবেক রবিবার ধৃত প্রত্যেককেই রানাঘাট বিচার বিভাগীয় আদালতে পেশ করা হয়। অন্যদিকে ওই চার বাংলাদেশিকে কতদিন আশ্রয় দিয়ে রেখেছিল দালালচক্রে জড়িত ব্যক্তিরা,কী উদ্দেশ্যে তারা ভারতে ঢুকেছিল তা জানতে ধৃতদের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়।

ধৃত শাকিল মিঞা -- নিজস্ব ছবিধৃত শাকিল মিঞা -- নিজস্ব ছবি
স্বপন কুমার মুখার্জি
  • বালুরঘাট,
  • 17 Feb 2025,
  • अपडेटेड 10:27 AM IST
  • পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল চার বাংলাদেশি নাগরিক
  • প্রত্যেক অনুপ্রবেশকারী এই ধরনের দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত
  • এক দালালকে গ্রেফতার করে রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ

চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে আসা বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করল বালুরঘাট জিআরপি থানার পুলিশ। ধৃতের নাম শাকিল মিঞা। বাড়ি বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানা এলাকায়। জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শাকিল মিয়া গত ১৪ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার হিলি সীমান্তের কাঁটাতার বিহীন এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধে ৫:৪৫ মিনিট নাগাদ শাকিল মিঞাকে বালুরঘাট  স্টেশনে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে জিআরপি থানার পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কখনও দিল্লি কখনও বা কলকাতা যাওয়ার উদ্দেশ্যে সে স্টেশনে অপেক্ষা করছিল বলে জানায়। পরে জেরায় স্বীকার করে যে তার বাড়ি বাংলাদেশে। হিলি সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে সে ভারতে প্রবেশ করেছিল।  অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে রবিবার তাকে বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হয়। 

পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল চার বাংলাদেশি নাগরিক

প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর বাংলাদেশে অন্তবর্তী সরকারের আমলে অশান্তির আবহ তৈরি হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে বেড়ে গিয়েছে অনুপ্রবেশের ঘটনা। বাংলাদেশ থেকে যেন ভারতো ঢোকার চেষ্টা হচ্ছে, তেমনই এতদিন ভারতে থাকা অনেকেই বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। যদিও দুই দেশের সাীমান্তরক্ষী বাহিনী সক্রিয় থাকায় বেশিরভাগ সময়ই অনুপ্রবেশকারীরা ধরা পড়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে ধরা পড়ছে বেশকিছু ভারতীয় দালাল। ভারতে ঢুকে দুমাস ধরে থাকার পর ফের দেশে ফিরতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল চার বাংলাদেশি নাগরিক। গ্রেফতার হয়েছে এক ভারতীয় দালালও। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের ওই চার অনুপ্রবেশকারী মাস দুয়েক আগে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে। এরপর এক দালাল চক্রের সহযোগিতা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল ওই অনুপ্রবেশকারীরা।  শনিবার, আটই ফেব্রুয়ারি রাতে চার অনুপ্রবেশকারী সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে যাওয়ার ছক্ক করছিল। সেই সময় খবর আসে নদিয়ার হাঁসখালি থানার পুলিশের কাছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই চার বাংলাদেশি সহ এক ভারতীয় দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

প্রত্যেক অনুপ্রবেশকারী এই ধরনের দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত

তবে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে হাঁসখালি থানায়। আর সেই মোতাবেক রবিবার ধৃত প্রত্যেককেই রানাঘাট বিচার বিভাগীয় আদালতে পেশ করা হয়। অন্যদিকে ওই চার বাংলাদেশিকে কতদিন আশ্রয় দিয়ে রেখেছিল দালালচক্রে জড়িত ব্যক্তিরা,কী উদ্দেশ্যে তারা ভারতে ঢুকেছিল তা জানতে ধৃতদের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। জানা গিয়েছে,ধত চার বাংলাদেশি নাগরিকের নাম,  জসিমউদ্দিন ইসলাম, বাড়ি বাংলাদেশের মহেশপুর, বাহারুল এসকে, বাড়ি খুলনা জেলায়, কুদ্দুস সরকার, বাড়ি নড়াইল, আকলিমা সরদার, বাড়ি খুলনা। ভারতীয় দালাল চক্রের মধ্যে রয়েছে রাজীব বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান প্রত্যেক অনুপ্রবেশকারী এই ধরনের দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সহযোগিতা নিয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকছে জেলা- সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। তাই এই দুটি শ্রেণিকে দমন করতে পুলিশের এই লাগাতার অভিযান।

এক দালালকে গ্রেফতার করে রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ

বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতি। আর এর মাঝে সেদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা অনেকটাই বেড়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র মারফৎ খবর উঠে আসছে। আবার বাংলাদেশিদের এদেশে প্রবেশে সাহায্য করার অভিযোগেও ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। কিছুদিন আগেও বেআইনিভাবে সীমান্ত পারাপার করিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতে প্রবেশ করতে সাহায্য করার অভিযোগে এক দালালকে গ্রেফতার করে রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ওই দালালকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ওই দালালের নাম কিতাব দফাদার। ৪০ বছর বয়সী ওই দালালের বাড়ি হাসখালি থানার উমরপুর পূর্ব পাড়া এলাকায়। উল্লেখ্য, বিগত বেশকিছুদিন ধরেই  বেআইনি অনুপ্রবেশ রুখতে লাগাতার এই ধরনের দালালদের খুঁজে খুঁজে গ্রেফতার করছে রানাঘাট জেলা পুলিশ। সেই তল্লাশি অভিযানের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনকালে অনেক জঙ্গিকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই সমস্ত দালালদের মাধ্যমে সেইসব জঙ্গিদের কেউ কেউ এদেশে প্রবেশ করেছে কি না, সেই প্রশ্নও তৈরি হচ্ছে কোনও কোনওমহলে।

রিপোর্টার: মৃদুল হোড়

Read more!
Advertisement
Advertisement