জয়নগরে নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া মুস্তাকিন সর্দারকে ফাঁসির সাজা দিল বারুইপুর আদালত। বৃহস্পতিবার ওই মামলায় মূল অভিযুক্ত মুস্তাকিন দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। শুক্রবার ফাঁসির রায় ঘোষণা করলেন বারুইপুরের ফাস্ট অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জাজেস কোর্টের বিচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়।
আরজি করের আবহে জয়পুরে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনে আরও একবার প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্যে নারী নিরাপত্তা। দ্রুত তদন্ত করে শাস্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিট গঠন করে সরকার। ২৬ দিন পর ৩০ অক্টোবর চার্জশিট পেশ করে তারা। ৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। মোট ৩৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
সাজা ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন,'জয়নগরে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আজ সাজা শুনিয়েছে পকসো আদালত। ৬২ দিনের মধ্যেই বিচার হয়েছে। আমি রাজ্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত তাড়াতাড়ি বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য। মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় প্রশাসন কোনওরকম আপস করে না'।
গত ৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় জয়নগরে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ওই নাবালিকা।গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ে বাড়ি ফিরছিল সে। খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মা-বাবা। স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ কোনও সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ। গভীর রাতে বাড়ির কাছে জলাজমি থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার। ওই রাতেই মোস্তাকিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরের দিন সকাল থেকে গোটা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ ফাঁড়িতে চলে হামলা ও ভাঙচুর। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে খোঁজ শুরু করলে মেয়েটা বেঁচে যেত! ঘটনার পরে প্রাথমিক ভাবে খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে পকসো ধারা যুক্ত হয়।