Advertisement

'তাড়াহুড়ো করে বিচার', এই যুক্তি দেখিয়ে হাইকোর্টে জয়নগর ধর্ষণ-খুনে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত মুস্তাকিন

জয়নগর নাবালিকা ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত যুবক এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল। ফাঁসির সাজা রদের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন মুস্তাকিন সর্দারের আইনজীবী।

'তাড়াহুড়ো করে বিচার', এই যুক্তি দেখিয়ে হাইকোর্টে জয়নগর ধর্ষণ-খুনে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত মুস্তাকিন'তাড়াহুড়ো করে বিচার', এই যুক্তি দেখিয়ে হাইকোর্টে জয়নগর ধর্ষণ-খুনে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত মুস্তাকিন
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 24 Jan 2025,
  • अपडेटेड 8:53 PM IST
  • মুস্তাকিন সর্দারকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন বারুইপুরের অতিরিক্ত জেলা দায়রা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়
  • সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সে

জয়নগর নাবালিকা ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত যুবক এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল। ফাঁসির সাজা রদের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন মুস্তাকিন সর্দারের আইনজীবী। মামলা করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। শুক্রবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে মুস্তাকিনের ফাঁসির সাজা রদের আবেদন জমা পড়েছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় মুস্তাকিন সর্দারকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন বারুইপুরের অতিরিক্ত জেলা দায়রা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সে। আবেদনে বলা হয়েছে, তাড়াহুড়ো করে তদন্ত ও বিচার করা হয়েছে। গোটা তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়ায় অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে। দোষীর বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে শোনা হয়নি। যে হাসপাতালে নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত হয়, সেখানে কোনও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন না। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

গত বছরের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় জয়নগরে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল এক নাবালিকা। গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ে বাড়ি ফিরছিল সে। খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মা-বাবা। স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ কোনও সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ। গভীর রাতে বাড়ির কাছে জলাজমি থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ। ওই রাতেই মুস্তাকিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্ত করে পুলিশ। ঘটনার এক মাস পর বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে অভিযুক্ত মুস্তাকিনকে গত বছর ৫ ডিসেম্বর দোষী সাব্যস্ত করেন বারুইপুরের অতিরিক্ত জেলা দায়রা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। ৬ ডিসেম্বর মুস্তাকিনকে ফাঁসির সাজা শোনান তিনি। এছাড়াও নাবালিকার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দেন বিচারক।

আরও পড়ুন

Read more!
Advertisement
Advertisement