পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িতে এক ১৩ বছর বয়সী কিশোরকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। নদিয়ার চাকদার রাওতারি হাইস্কুলের সামনে ওই স্কুল পড়ুয়াকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা যাচ্ছে ওই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র অঙ্কুশ বিশ্বাস। অঙ্কুশের বাবা করোনাতে মারা গিয়েছিলেন। এরপর থেকেই দাদুর কাছেই মানুষ হচ্ছিল ওই কিশোর। তার মা বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়ে অন্যত্র সংসার করছে।, অঙ্কশের নামে মৃত বাবার সমস্ত সম্পত্তি করে দেয় দাদু, এরপর থেকেই আদালতের সমস্ত আইন কানুন মেনেই নাতিকে মানুষ করছিলেন তিনি। অভিযোগ, আজ স্কুলে চলছিল ভূগোল পরীক্ষা। অঙ্কুশ বিশ্বাস পরীক্ষার শেষে তার এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে চাউমিন খাচ্ছিল। হঠাৎ একটি পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িতে করে তাঁকে অপহরণ করার চেষ্টা করে অঙ্কুশের মা। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসতেই গাড়িটিকে ঘেরাও করে ফেলা হয়। খবর দেওয়া হয় দাদুকে। অঙ্কুশের দাদু ঘটনাস্থলে আসতেই পুরো বিষয়টি থেকে পর্দা ওঠে।
দাদুর অভিযোগ তার নাতিকে জোরপূর্বক অপহরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। ছেলের মৃত্যুর পরে ছোট্ট অঙ্কুশকে ফেলে অন্যত্র গিয়ে বিয়ে করেন তার বৌমা। এখন সম্পত্তি ও টাকা পয়সার লোভে এই কাণ্ড ঘটানোর চেষ্টা করেছিল সে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চাকদা থানার পুলিশ। এরপর অভিযুক্তদের আটক করা হয়। পাশাপাশি পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িটিকেও আটক করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, ওই গাড়ির মালিক একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী। অবসর হওয়ার পরেও কীভাবে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে এই ধরনের কান্ড ঘটাতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছেন স্থানীয়রা।